গাজীপুর : পাগলে পাগলে কাণ্ড, যা ঘটিয়েছে শুনলে মাথা নষ্ট হয়ে যাওয়ার অবস্থা। টঙ্গীতে পাগল ছিল মাত্র দুজন। এক পাগল আরেক পাগলকে ছুরিকাঘাত করে মেরেই ফেলেছে।
এক পাগলের এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটানোর পর পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, আগে দুই পাগলে বসবাস করতো নরসিংদীতে। সেখানে তারা এক সঙ্গে ঘুরতো, বেড়াতো। এক সময় তারা নরসিংদী ছেড়ে আসে। দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিন দেখা সাক্ষাৎ ছিল না।
এরপর শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করেই তাদের দেখা হয় টঙ্গীর স্টেশন রোড ফুটওভারব্রিজের ওপর। এসময় একজন আরেকজনের ওপর চড়াও হয়।
এক পাগল আরেক পাগলকে বলে, তুই আমাকে নরসিংদীতে মারছিলি, আজ তোকে মারবো। এই বলেই ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এক পাগল।
নিহত পাগলের নাম জানা যায়নি। তবে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ বিল্লাল হোসেন নামে এক যুবককে আটক করেছে।
সে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রাখালনগর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গীর স্টেশন রোড ফুটওভারব্রিজের ওপর ভিক্ষা করছিলেন এক ভিক্ষুক। এসময় ছিনতাইকারী বিল্লাল ওই ভিক্ষুকের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
তারা জানান, ভিক্ষুক এতে বাধা দিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারী। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। নিহতের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যক্তি একে অপরের পরিচিত ছিল। লোকে বলতো পাগল।
তিনি জানান, তাদের পরিচয় হয়েছিল নরসিংদীতে। এরপর তাদের দেখা হয় টঙ্গীতে। ঝগড়ার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় একজন।
২৫ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম