গাজীপুর : বিয়ে করার খেসারত দিতে হলো নাসরিনকে। এ কারণে নাসরিনের তৃতীয় স্বামী আল আমিনের হাতে খুন হন তিনি।
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীসহ তিনজনকে হত্যা করে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে লাশ ফেলে দেয়ার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে তৃতীয় স্বামীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকৃতরা হলেন নিহত নাসরিনের তৃতীয় স্বামী আল আমিন, তার দুই সহযোগি নয়ন মিয়া ও রবিউল। এদের মধ্যে আল আমিন ও নয়ন মিয়ার বাড়ি সিরাজগঞ্জে ও রবিউলের বাড়ি জয়পুরহাট।
নিহতরা হলেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেংরা গ্রামের ব্যবসায়ী বাদল মণ্ডলের স্ত্রী নাসরিন মণ্ডল (৩০), হাদিকুলের স্ত্রী মেহেরুন আক্তার (৪৮) ও তার পালিত নাতি জাইমতি (৪)। নাসরিন সম্পর্কে মেহেরুনের ভাতিজি।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোলাইমান জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলাধীন টেংরা এলাকার নাসরিন আক্তারের প্রথম স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হলে একই এলাকার বাদল মণ্ডলের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয় তার।
তিনি জানান, এরই মাঝে নাসরিন মাস্টারবাড়ি এলাকার রিজভি মিন মিসি বস্ত্রলায়ের ম্যানেজার আল আমিনকে তৃতীয় বিয়ে করে। গত ৩০ জুলাই দুপুরে নাসরিনের তৃতীয় স্বামী আল আমিন নাসরিনকে দ্বিতীয় স্বামীর বাড়ি থেকে ডেকে দোকানে নিয়ে আসে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোলাইমান জানান, সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দোকানের কর্মচারী নয়ন মিয়ায় সহযোগিতায় আল আমিন নাসরিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনা দেখে ফেলায় নাসরিনের ফুফু মেহেরুন আক্তার ও পালিত নাতী জাইমতিকেও শ্বাসরোধে হত্যা করে তারা।
পরে সিরাজগঞ্জের বাড়িতে বন্যা হয়েছে তা দেখতে যাওয়ার কথা বলে দোকানের মালিকের গাড়িতে করে লাশ নিয়ে যায়।
ওই দিন রাতেই তারা যমুনা নদীতে বস্তাবন্দি করে তিনজনের লাশ ফেলে আসে। পরদিন সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর উপজেলায় যমুনা নদী থেকে দুই নারী ও এক শিশুর লাশ উদ্ধারের খবর টিভিতে দেখে স্বজনরা গিয়ে লাশ সনাক্ত করে।
এ ঘটনায় পুলিশ ব্যবহৃত গাড়ি, গাড়ির চালকসহ তাদের আটক করেছে। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
২ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম