শনিবার, ০৭ মার্চ, ২০২০, ০৬:১৮:০০

নৌকাডু'বির ভ'য়া'বহ ঘট'নার বর্ণনা দিলেন বেঁ'চে যাওয়া বর রুমন

নৌকাডু'বির ভ'য়া'বহ ঘট'নার বর্ণনা দিলেন বেঁ'চে যাওয়া বর রুমন

রাজশাহী: রাজশাহীতে বর-কনেসহ বউভাতের অনুষ্ঠান শেষে ফে'রার সময় দু’টি নৌকা ডু'বে যায়। শুক্রবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরের শ্রীরামপুর এলাকার বিপ'রীতে পদ্মা নদীতে নৌকাডু'বির এ ঘ'টনা ঘ'টে। এ ঘট'নায় এখন পর্যন্ত চারজনের ম'রদে'হ উ'দ্ধা'র করা হয়েছে। এখনও নি'খোঁ'জ রয়েছেন প্রায় পাঁচজন।

নৌকাডু'বির পর বালু তো'লার ড্রেজার নৌকা বর আসাদুজ্জামান রুমনকে উ'দ্ধা'র করে। পরে সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রুমন পদ্মার চরের ওপারের থাকা পবা উপজেলার চরখিদিরপুরের গ্রামের ইনছার আলীর ছেলে।

শনিবার (৭ মার্চ) দুপুরে রুমন মহানগরের শ্রীরামপুর এলাকায় আসেন। সেখানে ঘট'নার বর্ণ'না দিয়ে তিনি বলেন, নদীর ওপার থেকে আসার সময় পথিমধ্যে হঠাৎ ইঞ্জিন ব'ন্ধ হয়ে যায়। এতে আ'তঙ্কি'ত হয়ে ওই নৌকায় থাকা ছেলে-মেয়ে কা'ন্নাকা'টি শু'রু করে। তখন তার ভাই নৌকা থেকে লা'ফ দেয়। লা'ফ দিলে নৌকা হে'লে যায়। ফলে পানি এসে নৌকা ডু'বে যায়।

রুমন বলেন, একটি বালু তো'লার ড্রে'জার নৌকা এসে আমাদের উ'দ্ধা'র করে। আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে ছিল। কিন্তু সে তার বোনের সঙ্গে নৌকার পেছনের দিকে ছিল। আমি আমার বন্ধু শামীমের সঙ্গে ছিলাম। তাকে এখনো খুঁ'জে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, আমার সঙ্গে কেউ ছিল না তখন। যারা মেয়ে (কনে) আনতে যায়, ওই ক’জনই ওপারে মেয়েকে আনতে গিয়েছিল। আমরাও ডু'বে গিয়েছিলাম। যে নৌকাটি আমাকে উ'দ্ধা'র করেছিল, সেটি আরও তিনজনকে উ'দ্ধা'র করে। নৌকায় থাকা লোকজন বলেছিল, আমরা তোমাদের বাঁ'চাই, এখানে আরও চারটি নৌকা আছে। নৌকাগুলো সেখানে খোঁ'জাখু'জি করছিল। পরে সেখান থেকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। করোনাভাইরাসে কোন দেশে কত মানুষ ম'রতে পারে, জানালেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা

এদিকে নি'খোঁ'জদের খুঁ'জতে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে উ'দ্ধা'র অভি'যান পরিচালনা করছে চারটি উ'দ্ধা'রকারী ইউনিট। এরমধ্যে রাজশাহী সদর ফয়ার সা'র্ভিস ও সিভিল ডি'ফে'ন্সের একটি রংপুর থেকে আসা একটি, বিআইডব্লিউটির একটি এবং বিজিবির একটি ইউনিট নদীতে কাজ করছে।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘট'নার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নি'খোঁ'জদের উ'দ্ধা'রে অভি'যান চলে। পরে পদ্মা নদীতে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে আবারও উ'দ্ধা'র অভি'যান শুরু হয়।

শনিবার দুপুরে রতন আলী (২২) নামে এক যুবকের ম'রদে'হ উদ্ধার করা হয়। তিনি মহানগরের রাজপাড়া থানার বসুয়া এলাকার গাজী শেখের ছেলে। এছাড়া তিনি নি'খোঁ'জ কনের দুলাভাই।শুক্রবার রাতে উ'দ্ধা'রের পর তার ছয় বছরের মেয়ে মরিয়ম খাতুনকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃ'ত ঘো'ষণা করেন।

এর আগে শনিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মহানগরের শ্রীরামপুর ঘাট সং'ল'গ্ন পদ্মা নদী থেকে এখলাস হোসেন (২২) নামে আরও একজনের ম'রদে'হ উ'দ্ধা'র করা হয়।তিনি পবা উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের আসলাম হোসেনের ছেলে এবং নৌকাডুবিতে নি'খোঁ'জ কনে সুইটি খাতুন পূর্ণিমার চাচাতো ভাই। এছাড়া এখলাস পেশায় কাঠমি'স্ত্রি ছিলেন। এছাড়া শনিবার দুপুরে দু'র্ঘট'নার ক'ব'লে পড়ে ডু'বে যাওয়া নৌকাটিও উ'দ্ধা'র করা হয়েছে।

শনিবার সকালে রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদীর চারঘাট অংশের ইউসুফপুর থেকে মনি বেগম (৪৫) নামে আরও এক নারীর ম'রদে'হ উ'দ্ধা'র করা হয়। তিনি নি'খোঁ'জ কনের চাচি। এ নিয়ে পদ্মায় নৌকাডুবির ঘ'ট'নায় মৃ'তের সংখ্যা দাঁ'ড়ালো চারজনে। এখনও নি'খোঁ'জ রয়েছেন প্রায় পাঁচজন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে