ইসলাম ডেস্ক: গোসল শব্দটি আরবি। গোসল শব্দের অর্থ হচ্ছে সমস্ত শরীর ধোয়া। নিজের শরীর পবিত্র রাখার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় হলো গোসল। পবিত্রতার বিষয়ে গোসলের পরেই ওযুর স্থান। তবে মুসলিম উম্মাহসহ সব মানুষ কিভাবে গোসল করবে ইসলাম সে ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে গোসল কি, কেন এবং কিভাবে গোসল করতে বলা হয়েছে তা নিচে বর্ণনা করা হলো।
গোসলের প্রকারভেদ ও নিয়ম
ক. ফরজ গোসল- জানাবাত তথা যৌন মিলনের পর; মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধের পর; সন্তান জন্মদানের রক্ত বন্ধ হওয়ার পর।
গোসলের ফরজ তিনটি- ১. কুলি করা, ২. নাকে পানি দেয়া, ৩. সমস্ত শরীর পানি দিয়ে ধোয়া যাতে চুল পরিমাণও শুকনো না থাকে।
খ. সুন্নাত গোসল- জুমআর নামাজের গোসল, দুই ঈদের নামাজের গোসল, হজ ও ওমরার ইহরামের জন্য গোসল, আরাফাহর দিনে দুপুরের গোসল।
গোসলের সুন্নাতগুলো- ১. বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা, ২. গোসলের নিয়্যাত করা, ৩. ডান হাতে পানি নিয়ে উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধোয়া, ৪. লজ্জাস্থান ধোয়া, ৫. শরীরের কোথাও নাপাকি থাকলে তা পরিস্কার করা, ৬. উভয় হাত ভালো করে ধুয়ে নামাজের ওজুর ন্যায় ওজু করা, ৭. ভালোভাবে কুলি করা, ৮. নাকের ভিতর ভালো করে পানি পৌঁছানো, ৯. সমস্ত শরীর ভালো করে ধোয়া। ক. প্রথমে ডান কাধের ওপর তিনবার পানি ঢালা, খ. দ্বিতীয়বার বাম কাঁধে তিন বার পানি ঢালা, গ. অতপর মাথা ও সমস্ত শরীরের ওপর তিনবার পানি ঢালা, ১০. গোসলের স্থান থেকে সরে গিয়ে উভয় পা ধোয়া।
গ. মুস্তাহাব গোসল- ইসলাম গ্রহণের জন্য, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর অর্থাৎ ১৫ বৎসর হওয়ার পর, মস্তিষ্ক বিকৃতি ও সংজ্ঞাহীনতা দূর হওয়ার পর, সিঙ্গা লাগানোর পর, মৃত ব্যক্তির গোসল, ধর্মীয় উৎসব, মদিনা মুনাওয়ারায় প্রবেশকালে, মুযদালিফায় অবস্থানের জন্য ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর, মক্কায় প্রবেশকালে, তাওয়াফে জিয়ারতের জন্য, সূর্য ও চন্দ্রগ্রহনের সময়, ইস্তিস্কার নামাজের জন্য, ভয়ের নামজের জন্য।
গোসল ওয়াজিব হওয়ার কারণ-
১. ইহ্তিলাম- সহবাস ব্যতিত পুরুষ-মহিলার বীর্য বের হলে, তা যেভাবেই হোক, ২. স্ত্রী সহবাস, ৩. স্বপ্নদোষ, ৪. হস্তমৈথুন, ৫. হায়িজ বা ঋতুস্রাব ব্ন্ধ হলে, ৬. নিফাস বা সন্তান প্রসব পরবর্তী ইদ্দতকালীন সময় শেষ হলে।
২ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ