ইসলাম ডেস্ক: সালাম শব্দের অর্থ শান্তি বা কল্যাণ কামনা করা। একজন মুসলমান যদি অন্য একজন মুসলমান ভাই কিংবা বোনকে যদি সালাম দেন কিংবা তাহলে যেমন সওয়াব পাবেন, ঠিক তেমনিই সালামের উত্তর দিলেও পাওয়া সওয়াব। ইসলামে সালাম দেয়া সুন্নাত, উত্তর দেয়া ওয়াজিব। হাদীস শরীফে বেশি বেশি সালাম দেয়ার ফযীলত ও গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। বেশি বেশি সালাম দিলে নিশ্চিন্তে জান্নাতে প্রবেশ করার সুসংবাদ শুনিয়েছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
উপস্থিত ব্যক্তিকে আমরা সালাম দেব পরিস্কারভাবে, শুদ্ধ উচ্চারণে- ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’ বলে। অস্পষ্ট এবং অশুদ্ধ উচ্চরণে সালাম দেয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। স্টাইল ও বড়লোকি ভাব হলেও তাতে সাওয়াবের পরিবর্তে গুনাহের আশংকাই প্রবল। অন্যদিকে আপনার কাছে কিংবা আপনার সামনে না থাকা কোন ব্যক্তিকেও সালাম দেয়া যায়। তবে নির্দিষ্ট নিয়মে ওই ব্যক্তিকে সালাম দিতে হয়।
অনুপস্থিত ব্যক্তিকে যেসব পদ্ধতিতে সালাম দেয়া হয় তা হলো-
ক) কোন ব্যক্তির মাধ্যমে। যেমন বলা হয়, অমুককে আমার সালাম জানাইও।
খ) চিঠির মাধ্যমে।
গ) ব্যক্তির নাম উল্লেখ হলে। যেমন- আদম নবীর নাম উল্লেখ করে বলা হল ‘আলাইহিস সালাম’।
ঘ) বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের মাধ্যমে। যেমন- টেলিফোন, মোবাইল ইত্যাদির মাধ্যমে।
অনুপস্থিত ব্যক্তিকে যখন উল্লেখিত পদ্ধতিতে সালাম দেয়া বা জানানো হবে, তখন শোয়া, বসা, দাঁড়ানো যে কোন অবস্থাতেই তাকে সালাম দেয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কোন অবস্থারই কোন বিশেষত্ব বা ফীযলত নাই। কারণ এ সময় তো সালামপ্রাপ্ত ব্যক্তি সালাম দাতার অবস্থা সম্পর্কে অবগত নয়। অতএব, তাকে শুয়ে থেকে সালাম দেয়া আর দাঁড়ানো অবস্থায় সালাম দেয়া একই কথা। আদবের মধ্যে কোন পার্থক্য হবে না।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে উপস্থিত অনুপস্থিত সকলকেই বেশি বেশি সালাম দিয়ে নিশ্চিন্তে জান্নাতে প্রবেশ করার তাওফীক দান করুন।
৯ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ