ইসলাম ডেস্ক: আমাদের সমাজে অনেক ব্যক্তিকেই দেখা যায় তারা বিভিন্ন রোগ ব্যাধির হাত থেকে রক্ষা পেতে শরীরে তাবিজ ব্যবহার করে থাকেন। অনেক সময় ইমাম সাহেবানরাও রোগ আরোগ্যের জন্যে তাবিজ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এ বিষয়ে ইসলাম কি বলছে, তাবিজ ব্যবহার করা যাবে কি?
এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয় উল্লেখ্য। তা হচ্ছে, যেকোনো ধরনের তাবিজ তো মোটেই নয়, বরং কোরআনের আয়াত লেখা তাবিজও ব্যবহার করা যাবে না। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তাবিজ ঝোলাল, সে ব্যক্তি কুফরি করল এবং শিরক করল।’
তাবিজ-কবচ যেগুলো লেখা হয়, যাতে কুফরি কালাম থাকে, সেগুলো তো কোনো মুমিন ব্যক্তি পরতে পারবে না। তবে কোরআনুল কারিমের আয়াত লেখা কোনো তাবিজ কেউ পরতে পারবে কি না, এ ব্যাপারে আলেমদের দুই মত। একটি হচ্ছে যে, এভাবে কোনো তাবিজ-কবচ ব্যবহার করা যাবে না। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেছেন, এটা দ্বারা পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমার হাতে কোরআনের আয়াত লেখা তাবিজ থাকবে, আরেকজনের হাতে থাকবে কুফরি কালাম লেখা তাবিজ।
আরেকটি বিষয় হলো, কোরআনের আয়াত লেখা তাবিজ নিয়ে তো টয়লেটে যাওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোরআনের সম্মানহানি হবে। এ জন্য বলা হয়েছে যে, কোরআন লিখেও তাবিজ করে হাতে বাঁধা জায়েজ নেই।
বরং কোরআন পড়ে কোনো পানির মধ্যে বা তেলের মধ্যে ফু দিয়ে দম করে সেটা ব্যবহার করা যেতে পারে। সুতরাং আপনি যেটা বলেছেন, এভাবে তাবিজ-কবচ পরা, এগুলো জায়েজ নেই, এমনকি কোরআনের আয়াত হলেও জায়েজ নেই। এটা থেকে যেন আমরা বিরত থাকতে পারি, আল্লাহতায়ালা আমাদের সে তৌফিক দান করুন।
৯ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ