বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৫, ০৪:৪৮:৫৫

সেনা নায়ক হিসেবে রাসূল (সা.) যেমনটা ছিলেন

সেনা নায়ক হিসেবে রাসূল (সা.) যেমনটা ছিলেন

ইসলাম ডেস্ক: চিরন্তন ও বিশ্বজয়ী রিসালতের প্রতিষ্ঠায় যতটা যোগ্যতা প্রয়োজন, তার সবটুকুই আল্লাহ তায়ালা রাসুলকে (সা.) দান করেছেন। কেননা, এ সবকিছুই ছিলো ইলহামের বুনিয়াদ এবং হেদায়াতের উৎস। বদর যুদ্ধে তার অস্বাভাবিক ও অতুলনীয় নেতাসুলভ যোগ্যতা পূর্ণ ঔজ্জ্বল্য ও প্রভার সঙ্গে দীপ্ত ছিলো। তার প্রজ্ঞাপূর্ণ কাতারবন্দি ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা, বিপদ ও হঠাৎ হামলা রোধের কৌশল, শত্রুর সামরিক শক্তি, তাদের সৈন্যসংখ্যা, ছাউনি ও বিভিন্ন প্লাটুনের অবস্থানের সঠিক পরিমাপ, এগুলো ছিলো সেই সব জিনিস যেগুলো থেকে তার অস্বাভাবিক সামরিক মেধার পরিচয় মেলে।

যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে যুদ্ধক্ষেত্রের সামনে রাসুলের (সা.) জন্যে একটি টিলার ওপর ছাউনি ফেলা হয়। এরপর তিনি ময়দানে যান। উভয় বাহিনী সামনাসামনি হতেই রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন- আল্লাহ, এই কোরাইশের লোকেরা আজ পুরো অহঙ্কার নিয়ে ও গর্বভরে এসেছে। এরা তোমার সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় এবং তোমার রসুলকে মিথ্যাবাদি সাব্যস্ত করছে।
এরপর তিনি কাতার ঠিক করেন এবং এই ক্ষুদ্র মুসলিম বাহিনীর অনুকূলে আল্লাহ তায়ালার সুপারিশ করলেন। তিনি বললেন- হে আল্লাহ! যদি তুমি এই ক্ষুদ্র জামা‘আতটিকে ধ্বংস কওে দাও তাহলে পৃথিবীর বুকে তোমার ইবাদত করবোার কেউ থাকবে না।
এরপর রাসুল (সা.) সেনাবাহিনীর সামনে তশরীফ নিলেন এবং তাদেরকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও শাহাদাত লাভের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেন। উভয় বাহিনী পরস্পরের মুখোমুখি হয় এবং যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এ সময় মুসলমানদেরকে লক্ষ্য করে রাসুল [সা] বলেন- এগিয়ে যাও সেই জান্নাতের দিকে যার প্রশস্ততা আকাশ-জমিন বরাবর। [নবিয়ে রহমত]
তথ্যসূত্র: সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদভি (রহ.) গ্রন্থ থেকে অনুবাদকৃত
১৫ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে