বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:১০:৪১

যে আমল জান্নাতে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়

যে আমল জান্নাতে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়

ইসলাম ডেস্ক: বোখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফের বর্ণনাযুয়ী- মহানবী (সা.) বলেন, এক ব্যক্তি মানুষকে ঋণ দিত। তারপর সে ঋণ ওঠাতে একজন আদায়কারী পাঠাতো। আদায়কারীকে বলে পাঠাতো অতি অভাবী কোনো ব্যক্তি পেলে তাকে মাফ করে দিও! হয়তো এর কল্যাণে আল্লাহ আমাদেরকেও মাফ করে দিবেন। হজরত রাসুল সা. বলেছেন, সেই ঋণ দাতা ব্যক্তিটি যখন মৃত্যু হল আল্লাহ তায়ালা তার সব গুনাহ মাফ করে জান্নাতবাসী করে দিলেন। (বোখারি, মুসলিম) মহানবি সা. আরও বলেছেন, কেয়ামতের ভয়াবহ আজাব-গজব থেকে রক্ষা পেলে যাদের ভালো লাগবে; সে যেন দরিদ্র-ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় অথবা তার ওপর থেকে ঋণের বোঝা একেবারেই নামিয়ে দেয়, অর্থাৎ মাফ করে দেয়। (মুসলিম) হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা. সূত্রে রাসূল সা. বর্ণিত। জানাজার নামাজ পড়ানোর জন্য মহানবি সা.-এর নিকট একটি লাশ নিয়ে আসা হল। নবিজি জানতে চাইলেন, তোমাদের এই মৃত্যের ওপর কি কোনো ঋণ আছে? লোকেরা বললো, হ্যাঁ ওর জিম্মায় কিছু ঋণ আছে। মহানবি সা. আবারও জিজ্ঞেস করলেন, সে কি এমন কোনো সম্পত্তি রেখে গেছে, যা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যায়? লোকেরা বললো, না। তখন রাসুল সা. বললেন, আমি নই; তোমরা ওর জানাজ আদায় করো। এই পরিস্থিতি দেখে হজরত আলি রা. তার ঋণের ভার বহন করলেন। তখন নবিজি বললেন, হে আলি, তুমি যেভাবে নিজের এই মুসলিম ভাই এর ঋণের দায়িত্ব গ্রহণ করে তাকে রক্ষা করলে, আল্লাহ তায়ালা তোমাকেও দোজখ থেকে রক্ষা করবেন। যদি কেউ অপর ভাইয়ের ঋণ পরিশোধ করে, কেয়ামতের দিন আল্লাহর তায়ালা তাকে জান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিবেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে শহিদ হয়েছে তার সকল গুনাহ মাফ হবে। কিন্তু ঋণ মাফ হবে না। (মুসলিম) হযরত আবু রাফে রা. সূত্রে বর্ণিত, মহানবি সা. একজন ব্যক্তির কাছ থেকে একটি অল্পবয়স্ক উট ধার নেন। এরপর মহানবি সা.-এর কাছে জাকাতের কিছু উট এলো। মহানবি সা. আমাকে আদেশ করলেন, ঋণদাতা ব্যক্তির অল্পবয়স্ক উটের ঋণ যেন পরিশোধ করে দিই। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল সা. একটি উটই তো দেখছি খুব উৎকৃষ্ট এবং সাত বছরের। মহানবি সা. বললেন ওটাই তাকে দিয়ে দাও। কেননা সে ব্যক্তিই ভালো মানুষ, যে সর্বোত্তম পন্থায় ঋণ পরিশোধ করে। (মুসলিম) হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, মহানবি সা. বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে প্রকৃত দরিদ্র হল সেই ব্যক্তি, যে কেয়ামতের দিন প্রচুর নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত নিয়ে আসবে; কিন্তু সে কাউকে গালি দিয়ে আসবে, প্রহার করে আসবে অথবা কারও সম্পদ আত্মসাৎ করে আসবে। এরপর এসব মজলুম বা পাওনাদারদের মধ্যে তার নেক কাজের সওয়াব বণ্টন করা দেওয়া হবে। যখন নেক আমল ফুরিয়ে যাবে বা পাওনাদারদের পাপ কাজ তার ঘাড়ে চাপিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (তিরমিজি) ২১ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে