একজন প্রকৃত মুমিনের পরিচয়
ইসলাম ডেস্ক: ইসলামের শিক্ষায় আখলাক-চরিত্র এবং সামাজিক বিষয়গুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ। দ্বীনে গুরুত্বপূর্ণ শাখা-প্রশাখার মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা হচ্ছে সামাজিক আচার-আচরণ; যাতে অন্য মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং পরস্পর মিলে জীবনযাপনের আদব-শিষ্টাচারের আলোচনা করা হয়েছে। ইসলাম এই দিকটিতে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এক মুসলমান ওপর মুসলমানের ভাই। আমরা সবাই ভাই ভাই। প্রত্যেক মুসলমানের ওপর এটা ইমানি দায়িত্ব যে, সে তার ভাইয়ের অধিকারের ব্যাপারে সতর্ক থাকবে এবং ওপর মুসলমান ভাইকে কখনো কষ্ট দেবে না। হজরত আবু হুরায়রা [রা.] থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসুলে কারিম [সা.] বলেছেন, প্রকৃত মুসলমান তাকে বলা হবে যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ এবং প্রকৃত মুমিন ওই ব্যক্তি যার পক্ষ থেকে অন্য মানুষের জান-মাল শঙ্কামুক্ত থাকে। আলোচ্য হাদিসটি ইসলামের বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলাম মূলত মানবতার ধর্ম। ভালো আচরণ ও ভালো আমলের ধর্ম ইসলাম। ইসলাম মানুষকে সভ্য ও শালিন হওয়ার নীতি বাতলিয়েছে। অন্ধকার থেকে মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছে ইসলাম। মানুষের আচরণগত, আদর্শগত, নীতিগত এবং ব্যবহারগত সব ধরনের আলোচনা সভ্য ও শালিনতাকে প্রাধান্য দিয়েছে ইসলাম। আলোচ্য হাদিসটিকে ইসলামের আচরণগত আলোচনা মূল বলা চলে। কারণ এই হাদিসটির মাঝে একজন প্রকৃত মুসলমান ও প্রকৃত মুমিন বান্দার মূল পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ সেই প্রকৃত মুসলমান। এখানে হাত ও মুখ দুটি বিষয় আলোচিত হলেও এই হাদিসের দ্বারা সর্ব প্রকার কষ্টদায়ক কাজ থেকে বিরত থাকার উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে বলা হয়েছে, মুসলিম ভাইয়ের জান-মাল যার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ সেই প্রকৃত মুমিন। এখানেও মাত্র দুটি বিষয় আলোচিত হয়েছে ঠিক কিন্তু উদ্দেশ্য সব প্রকার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকা। সুতরাং হাদিসের আলোচনার ওপর ভর করে নিশ্চিতভাবে একটি কথা আমরা বলতে পারি, যে ব্যক্তি অন্যকে কষ্ট দিয়ে থাকে, তাকে আইনত ও শাব্দিক অর্থে মুসলমান বলা হলেও একজন সাচ্চা মুসলমান হওয়ার ক্ষেত্রে, প্রকৃত বৈশিষ্ট্যধারী মুসলমান হওয়ার ক্ষেত্রে বহু দূরে অবস্থান তার। আল্লাহ আমাদের সবাইকে প্রকৃত মুমিন ও মুসলমান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন। প্রিয় নিউজ
২১ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ