রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:৩৩:১৭

জানেন কি, কোন মানুষকে আল্লাহর বন্ধু বলা হয়েছে?

জানেন কি, কোন মানুষকে আল্লাহর বন্ধু বলা হয়েছে?

ইসলাম ডেস্ক: আল্লাহ পাক খাঁটি মুমিনদের প্রশংসায় বলেছেন, মুমিনগণ দান-সদকা করতে গিয়ে বলে থাকেন, আমরা আপনাদের (গরিব ও দুস্থ লোকদের) খাদ্য দান করি। কেবল আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে, কোনো প্রকার বিনিময় ও শুকরিয়া পাওয়ার উদ্দেশ্যে নয়।অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, যারা তাদের সম্পদ আল্লাহ রাহে খরচ করে অতঃপর উহা দ্বারা খোটা দেয়া বা কোনো প্রকার কষ্ট দেয়ার কাজে লেগে যায় না, তাদের জন্য রয়েছে সওয়াব। তাদের নেই কোনো ভয় এবং হবে না তারা কোনো প্রকার চিন্তিত। এ বিষয়ে বহু হাদিসে বর্ণিত আছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসুলে পাক (সা.) বলেন, প্রত্যেক সকাল বেলায় আল্লাহ পাকের ফেরেস্তাগণ বান্দার নিকট অবতরণ করেন, এর মধ্যে একজন বলতে থাকেন হে আল্লাহ! দানকারী বান্দাকে তুমি উত্তম প্রতিদান দাও এবং অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! দাও তুমি কৃপণকে সর্বনাশ (বুখারি ও মুসলিম শরিফ)। হজরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রা.) হতে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি আরজ করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহু উত্তম মুসলমান কে? তিনি বললেন, যে অন্যকে খাওয়াবে, পরিচিত ও অপরিচিত লোককে সালাম প্রদান করবে (বুখারি শরিফ)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি তার হালাল উপার্জন থেকে একটি খেজুুর পরিমাণ কিছু দান করবে, আর আল্লাহপাক পবিত্র তিনি হালাল বস্তু ব্যতীত অন্য কিছু কবুল করেন না। আল্লাহ পাক তার ওই দান ডান হাতে (সম্মানের সঙ্গে) গ্রহণ করবেন, অতঃপর তিনি গৃহীত ওই দানকে লালন-পালন করেন। অবশেষে ওই দান পাহাড় পরিমাণ হয়ে যায় (বুখারি ও মুসলিম শরিফ)। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হজরত রাসুলে পাক (সা.) কে বলতে শুনেছি যেই মুসলমান কোনো মুসলমানকে একখানা কাপড় পরিধান করাবে সে আল্লাহপাকের খাস হেফাজতে থাকবে। যতক্ষণ পর্যন্ত দানকৃত ওই কাপড়ের অংশ গ্রহীতা মুসলমানের পরনে থাকবে (তিরমিজি শরিফ)। হজরত আবু জর (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসুলে পাক (সা.) বলেন, তোমার ভাইয়ের সামনে তোমার মুচকি হাসি একটি সদকাস্বরূপ, তোমার সৎ কাজের আদেশ করা একটি সদকাস্বরূপ, মন্দকাজ থেকে বাধা দেয়া একটি সদকা, পথ ভোলা মানুষকে পথ বাতিয়ে দেয়া তোমার জন্য একটি সদকা, কম দৃষ্টিসম্পন্ন লোককে সাহায্য করা তোমার জন্য একটি সদকা, রাস্তা হতে ইট-পাটকেল, কাঁটা কণ্টক ও হাড্ডি ইত্যাদি দূর করে দেয়া এবং তোমার পাত্র থেকে তোমার ভাইয়ের পাত্রে পানি ঢেলে দেয়া তোমার সদকা (তিরমিজি শরিফ)। হজরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসুলে পাক (সা.) বলেন, সদকা মহান আল্লাহর ক্রোধকে নিভিয়ে দেয় এবং অশুভ মৃত্যুকে প্রতিহত করে (তিরমিজি শরিফ)। উক্ত সাহাবি থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুল পাক (সা.) বলেন, যে মুসলমান কোনো বৃক্ষ রোপণ করে অথবা কোনো কৃষি উৎপাদন করে অতঃপর তা থেকে কোনো মানুষ বা পাখি অথবা জীবজন্তু কিছু ভক্ষণ করলে তা মালিকের জন্য সদকাস্বরূপ গণ্য হবে (বুখারি ও মুসলিম শরিফ)। আল্লাহ পাক মহাগ্রন্থ কোরানের বরকত আমাদের ও আপনাদের দান করুন। বিতাড়িত শয়তানের প্ররোচনা থেকে আল্লাহ পাকের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি। হে মুমিনগণ! তোমরা কখনো পুরোপুরি নেকি ও সওয়াব পাবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু দান করবে। (আল কোরান)। রজবের চাঁদে দান করলে বেশি বরকত পাওয়া যাবে। ২৫ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে