ইসলামি পরিভাষায় হিংসা কমানোর সহজ উপায়
ইসলাম ডেস্ক: সালাম আদান প্রদানে পারস্পরিক ভালবাসা বৃদ্ধি পায়। ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের সহায়ক পদ্ধতিও সালাম। কোরআনে সালাম আদান প্রদানে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে, ‘হে বিশ্বাসী! তোমরা নিজেদের ঘর ব্যতীত অন্য কারও ঘরে অনুমতি না নিয়ে এবং তাদের সালাম না দিয়ে প্রবেশ করো না।’ (সূরা তূর: ২৭)
হাদিসে মহানবী সা. বলেছেন, ‘তোমরা কথা বলার আগে সালাম দাও। যখন দুজন পরস্পরের সম্মুখীন হও তখন যে কেউ আগে সালাম দেয় সে আল্লাহর সর্বপেক্ষা নিকটবর্তী।’ (মেশকাত)
ঘরে প্রবেশের আগেও স্বজনদের প্রতি সালাম দেওয়ার কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ করবে, স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এ হবে আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র অভিবাদন।’ (সূরা নুর : ৬১)
হযরত আবু উমারা বারা ইবনে আযেব রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সা. আমাদের সাতটি কাজের আদেশ করেছেন। ১. রোগী দেখতে যাওয়া, ২. জানাযায় শরিক হওয়া, ৩. হাঁচির জবাব দেওয়া, ৪. দুর্বলকে সাহায্য করা, ৫. নির্যাতিত ব্যক্তির সাহায্য করা, ৬. সালাম প্রচার করা, এবং ৭. শপথকারীর শপথ পূর্ণ করা। (বুখারী ও মুসলিম)
পারস্পরিক হিংসা বিদ্বেষ দূর করে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে রাসুলুল্লাল্লাহ সা. বলেছেন, ‘তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যতক্ষণ না তোমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা গড়ে উঠবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের এমন একটি কাজের কথা বলব, যা করলে তোমরা একে অপরকে ভালোবাসবে? তোমরা পরস্পর মধ্যে সালাম প্রচার কর।’(মুসলিম)
সালামের পদ্ধতি বা কে আগে সালাম দেবে এ সম্পর্কে রাসুল সা. বলেন, ‘আরোহী পায়ে হাঁটা ব্যক্তিকে, পায়ে হাঁটা ব্যক্তি বসে থাকা ব্যক্তিকে এবং অল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক লোককে সালাম দেবে। (বুখারী ও মুসলিম)
রাসুল সা.কে জিজ্ঞেস করা হল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! দু’জনের সাক্ষাৎকালে তাদের মধ্যে কে প্রথমে সালাম দেবে? তিনি বললেন, ‘যে মহান আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে।’ (তিরমিযী)
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন কেউ তার মুসলিম ভাইয়ের সাথে দেখা করে, তখন সে যেন তাকে সালাম দেয়। তারপর যদি তাদের দু’জনের মাঝে গাছ বা দেয়াল অথবা পাথর আড়াল হয়, তারপর আবার সাক্ষাৎ হয়, তাহলে সে যেন আবার সালাম দেয়।’ (আবু দাউদ)
২৮ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ