ইসলাম ডেস্ক: মুসলমানদের উপর কোরবানী ওয়াজীব ইবাদত। অপর দিকে আকিকার বিষয়েও ইসলামে কড়া নির্দেষনা দেয়া রয়েছে। ইসলামের পরিভাষায় আকিকাকে মুস্তাহাব বলা হয়। কিন্তু অনেক সময় মানুষ অর্থের অভাবে আকিকা দিতে পারে না। আবার কোন কোন ব্যক্তিকে কোরবানী না করে আকিকা করতেও দেখা যায়। এ বিষয়ে আসলে ইসলামের প্রকৃত ব্যাখ্যা কি?
ইসলামিক ব্যাখ্যা:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
অনেক ভাই কুরবানীর উপর আকিকা দেয়াকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এটি ভুল পদ্ধতি। আকিকা না দিলে কোন গোনাহ হবে না। কিন্তু কারো উপর কুরবানী ওয়াজিব হবার পর তা না দিলে ব্যক্তি গোনাহগার হবে।
শুধু ঋণগ্রস্ত হলেই কুরবানী মওকুফ হয়ে যায় না। দেখতে হবে ঋণ ব্যতিরেকে নেসাব পরিমাণ সম্পদের ব্যক্তি মালিক কি না? যদি ঋণ বাদ দিয়ে ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, তাহলে তার উপর কুরবানী করা আবশ্যক।
নেসাব বলতে বুঝানো হয়, কুরবানীর দিনসমূহে কোন ব্যক্তি যদি আবশ্যকীয় প্রয়োজন অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার সমমূল্য পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকে, তাহলে উক্ত ব্যক্তির উপর কুরবানী করা আবশ্যক। [-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫]
সে হিসেবে আপনি যাচাই করে নিন আপনার উপর কুরবানী আবশ্যক কি না? যদি আপনার উপর কুরবানী আবশ্যক না হয়, তাহলে আপনি আকিকায় অংশ নিতে পারেন। কোন সমস্যা নেই।
[বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬, আলমাবসূত সারাখছী ৪/১৪৪, আলইনায়া ৮/৪৩৫-৩৪৬, আলমুগনী ৫/৪৫৯]
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর