এতিম প্রতিপালনকারীরা জান্নাতি
ইসলাম ডেস্ক: এতিমরা সমাজের সবচেয়ে অসহায় শিশু। নবী মুহাম্মদ সা. শিশুকালেই বাবা মা হারিয়েছেন। তিনি ছিলেন এতিম। এতিমদের প্রতি সদয় হতে আল্লাহ তায়ালা হুজুর সা. কে নির্দেশ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তিনি কি আপনাকে এতিম রূপে পাননি? অত:পর আশ্রয় দিয়েছেন। তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অত:পর পথ প্রদর্শন করেছেন। আপনাকে পেয়েছেন নি:স্ব, অত:পর অভাবমুক্ত করেছেন। সুতরাং আপনি এতিমের প্রতি কঠোর হবেন না। (সূরা দুহা : ৬-৯)। এতিমদের মর্যাদা সম্পর্কে মহানবী সা. বলেন, আমি ও এতিম প্রতিপালনকারীর অবস্থান জান্নাতে এই দুই আঙ্গুলে ন্যায় পাশাপাশি হবে। চাই সেই এতিম তার নিজের হোক অথবা অন্যের। দুর্বল অসহায়দের আবেদনে আমাকে সাহায্য কর। তোমাদের দুর্বল-অসহায়দের কারণেই তোমরা সাহায্য ও রিজিক প্রাপ্ত হও। (আবু দাউদ)
অপর এক হাদিসে রাসুল সা. বলেন, মুসলিমদের ওই বাড়িই সর্বোত্তম যে বাড়িতে এতিম রয়েছে এবং তার সাথে ভালো ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে নিকৃষ্ট ওই বাড়ি যে বাড়িতে এতিম আছে, অথচ তার সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়। অত:পর তিনি তার আঙ্গুলির মাধ্যমে বললেন, আমি এবং এতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এমনভাবে অবস্থান করব। [ইবনে মাজাহ]
এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে তার অন্তর কঠিন মর্মে অভিযোগ করলেন। নবী সা. তাকে বললেন, যদি তুমি তোমার হৃদয় নরম করতে চাও তাহলে দরিদ্রকে খাবার খাওয়াও এবং এতিমের মাথা মুছে দাও। (মুসনাদে আহমাদ)
অপর হাদিসে রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো ছেলে অথবা মেয়ে এতিমের মাথায় একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে হাত বুলিয়ে দেয়, মাথার যত চুল দিয়ে তার হাতটি অতিক্রম করবে তার তত সওয়াব অর্জিত হবে। আর এতিমের প্রতি সে যদি ভাল ব্যবহার করে তাহলে এই দুই আঙ্গুলের ন্যায় সে এবং আমি জান্নাতে অবস্থান করব। রাসূলুল্লাহ তাঁর দুই আঙ্গুলকে মিলিয়ে দেখালেন। (মুসনাদে আহমদ)
এছাড়াও এতিমদের ধন-সম্পদ রক্ষাসহ সার্বিক বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘আর এতিমদের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখবে, যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনা দেখা যায়, তাহলে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পণ করতে পারবে। এতিমের সম্পদ প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ কর না অথবা তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেল না। যখন তাদের কাছে তাদের সম্পদ তাদের হাতে হস্তান্তর করবে, তখন সাক্ষী রাখবে। অবশ্যই আল্লাহ হিসাব নেয়ার জন্য যথেষ্ট।’ (সূরা আন নিসা: ৬)
১লা নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ