মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:৫২:০৩

তিন ধরণের ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ পাকের আবশ্যক হয়ে যায়

তিন ধরণের ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ পাকের আবশ্যক হয়ে যায়

ইসলাম ডেস্ক: বিয়ের পরও যদি কারো অভাব অনটন দূর না হয় বুঝতে হবে, আসলে আল্লাহর ইচ্ছে নেই সচ্ছলতায়। বিয়ের পর যেহেতু অভাব অনটন তীব্রভাবে অনুভূত হয় তাই অনেকে ভ্রামত্ম ধারণা শিকার হয়। মনে করে বিয়ে করাটা ঠিক হয়নি। কল্পিত সে আশঙ্কা অপনোদনের জন্য আল্লাহপাক বলেন— وَاِنْ خِفْتُمْ عَيْلَةً فَسَوْفَ يُغْنِيْكُمُ اللهُ مِنْ فَضْلِهِ اِنْ شَاءَ ‘তোমরা যদি দারিদ্রের ভয় করো; অচিরেই আল্লাহাপাক নিজ অনুগ্রহে তোমাদেরকে ধনী করে দিবেন।’ [সুরা তাও বা, আয়াত ২৮] এই আয়াতে পড়ে হযরত আবদুল্লাহ বিন আববাস রাযি. বলেন, আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিবাহের প্রতি উৎসাহিত করেছেন; সাথে সুখ সচ্ছলতারও ওয়াদা করেছেন। অতএব যার বিয়ের সক্ষমতা আছে সে যেনো বিয়ে করে। [ইবনে কাসীর] হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাযি. বলেন, বিয়ের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা যা আদেশ করেছেন তা পালন করো। এ ব্যাপারে পূর্ণ আনুগত্য করো, তাহেল আল্লাহও তাঁর ওয়াদা পূরণ করবেন। [ইবনে কাসীর] হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রাযি. বলেন, তোমরা বিয়েশাদির মাধ্যমে সচ্ছলতা তালাশ করো। কেননা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন التمسوا الغني في النكاح ‘তোমরা বিয়ের মাধ্যমে সচ্ছলতা তালাশ করো।’ [ইবনে কাসির] হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ثلاثة حق علي الله عونهم المكاتب الذي يريد الاداء والناكح الذي يريد العفاف والمجاهد في سبيل الله # مشكوة كتاب النكاح ‘তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ নিজের ওপর অবধারিত করে নেন। মুকাতিব গোলাম যে ঋণ পরিশোধ করতে চায়। বিবাহ ইচ্ছুক যে নিজেকে পবিত্র রাখতে চায়। মুজাহিদ যে আল্লাহর রাসত্মায় জেহাদ করতে চায়।’ [মিশকাত, কিতাবুন নিকাহ] হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা বিয়ে করো। কেননা বিয়ে সুখ সচ্ছলতার অন্যতম উপায়। অর্থাৎ বিবি বাচ্চার আগমন রিজিকে বরকত আনায়ন করে। [জমউল ফাওয়ায়েদ] হযরত জাবের রাযি. বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে বিয়ে করে, মনে মনে তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে; আল্লাহপাক নিজের ওপর অবধারিত করে নেন তাকে সাহায্য করা এবং বরকত দান করা। [ইবনে কাসীর] এখানে সুখ সচ্ছলতাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে আল্লাহপাকের ইচ্ছার সাথে। সাথে একথাও বলা হয়েছে, কল্পিত দারিদ্রের ভয়ে প্রয়োজনীয় কাজ ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। কেননা আল্লাহপাক অভাব অনটনের পরও সুখ সচ্ছলতা দিতে পারেন। মোটকথা আমাদের উদ্দেশ্য হলো একথা প্রমাণ করা যে, আল্লাহপাক বিয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। অভাব অনটন, দুঃখ দারিদ্রের ভয়ে বিয়ে না করা বোকামি, চরম নির্বুদ্ধিতা। ১৭ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে