বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫, ১০:২২:০৫

মিশরীয় বনি ইসরাইলের ইতিহাস

মিশরীয় বনি ইসরাইলের ইতিহাস

ইসলাম ডেস্ক: হযরত ইউসুফ (আ.) বনি ইসরাইল সম্পর্কে শুধু এতটুকুই আলোচনা করেছে যে, হযরত ইয়াকুব (আ.) ও তাঁর পরিবার পরিজন হযরত ইউসুফ (আ.)-এর সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য মিসরে এসেছেন। কিন্তু তার কয়েকশো বছর পর সংঘটিত হযরত মুসা (আ.)-এর ঘটনায় কুরআনুল কারিম পুনরায় বনি ইসরাইলের ঘটনাবলি বিস্তারিত বর্ণনা করছে। তা থেকে বুঝা যায়, বনি ইসরাইল হযরত ইউসুফ (আ.)-এর যুগে মিসরেই বসতি স্থাপন করেছিলো। অতীতের এই কয়েকশো বছরে তাদের ইতিহাস মিসরের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট ছিলো। তাওরাতের নিম্নলিখিত বিবরণগুলো এই বক্তব্যেরই সমর্থন করছে : “ফেরআউন ইউসুফ (আ.)-কে বললেন, তোমার পিতা ও ভাইয়েরা তোমার কাছে এসেছে। মিসরের ভূমি তোমার সামনে। তোমার পিতা ও ভাইদেরকে এই দেশের কোনো এক স্থানে, যা সবচেয়ে উত্তম হয়, বসতি স্থাপন করতে দাও। আরামদায়ক ভূমিতে তাদেরকে থাকতে দাও। আর যদি তুমি তাদের মধ্য থেকে কাউকেও যোগ্য মনে করো, তবে তাকে তোমার গবাদিপশুগুলোর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করো।” “আর ইউসুফ তার পিতা ও ভাইদেরকে মিসরের এক উত্তম ভূখণ্ডে, যা ছিলো রা‘আমসীস নামে পরিচিত, ফেরআউনের নির্দেশ অনুসারে বসতি স্থাপন করতে দিলেন এবং তাদেরকে ওই ভূমির মালিক বানিয়ে দিলেন। আর হযরত ইউসুফ আ. তাঁর পিতা ও ভাইদেরকে এবং পিতার গোটা খান্দানকে নিজের সন্তানদের মতো খাদ্য সরবরাহ করলেন এবং তাদের প্রতিপালন করলেন।” “আর ইসরাইল [ইয়াকুব আ.] মিসর দেশে আরামদায়ক অঞ্চলে বসবাস করেছেন। মিসরে তিনি প্রচুর ভূ-সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন। সময়ে তা বহুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছিলো। তিনি মিসরে সত্তর বছর জীবিত ছিলেন। সুতরাং হযরত ইয়াকুব আ.-এর পূর্ণ বয়স হয়েছিলো ১৪৭ বছর।” তাওরাতে এ-বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে যে, হযরত ইউসুফ আ. তাঁর পিতা ও ভাইদের জন্য ‘জাশান’ ভূখন্ডটি চাইলে ফেরআউন আনন্দের সঙ্গে তা তাঁকে দান করেছিলেন। মিসরের মানচিত্রে এই এলাকাটি বিলবিসের উত্তর দিকে অবস্থিত। বর্তমান কালে এই অঞ্চলে অবস্থিত শহরের নাম ফালুসাহ (সিফতুল হান্নাহ)। সূত্র : কাসাসুল কুরআন, তাফসিরে ইবনে কাসির ১৮ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে