নামাজের মধ্যে ‘সিজদায়ে সাহু’ করার নিয়ম
ইসলাম ডেস্ক: নামাজের মধ্যে যদি ভুলক্রমে কোনো ‘ওয়াজিব’ ছুটে যায়, তাহলে ‘সিজদায়ে সাহু’ করতে হয়। রাকাআতের গণনায় ভুল হলে বা সন্দেহ হলে কিংবা কম বেশি হলে অথবা প্রথম বৈঠকে না বসে দাঁড়িয়ে গেলে ইত্যাদি কারণেও ‘সিজদায়ে সাহু’ আবশ্যক হয়। হাদিসে আছে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন ‘তোমরা কেউ যখন নামাজে দাঁড়াও, তখন শয়তান তার কাছে এসে তাকে সন্দেহ ও দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে ফেলে দেয়। এমনকি সে কত রাকাত নামাজ আদায় করলো তাও স্মরণ করতে পারে না। তোমরা কেউ এরূপ অবস্থা দেখলে যেন বসে বসেই দুটি (অতিরিক্ত) সিজদা করে নাও।’
সিজদায়ে সাহু আবশ্যক হওয়ার পর কেউ যদি আদায় না করে তাহলে নামাজ হবে না। সাহু সিজদা দেয়ার নিয়ম হলো শেষ রাকাতে তাশাহুদ পড়ে শুধু ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে ২টি সিজদা দিতে হবে। ২ সিজদার মাঝখানে অবশ্যই ১ তাসবিহ পরিমাণ সোজা হয়ে বসতে হবে। তারপর যথারীতি আবার আত্তাহিয়্যাতু (তাশাহুদ), দরুদ শরিফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে নামাজ শেষ করতে হবে। তবে নামাজে কোনো ফরজ ছুটে গেলে সাহু সিজদা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। আবার নতুন করে নামাজ পড়তে হবে।
নামাজে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব না হওয়া সত্ত্বেও যদি কেউ খামাখা ইচ্ছাকৃতভাবে সিজদায়ে সাহু করে তাহলে তার নামাজ মাকরূহে তাহরিমির সাথে আদায় হবে। আর যদি কেউ এ ধারণার উপর সিজদায়ে সাহু করে যে, তার উপর সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়েছে অথচ বাস্তবে এরূপ ভুলের কারণে সিজদা ওয়াজিব হয় না, তাহলে তার নামাজ মাকরূহ হবে না। বরং মনের সন্দেহ দূর করতে এ অবস্থায় সিজদায়ে সাহু করাটাই উত্তম।-রদ্দুল মুহতার
২২ নভেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২০১৫/এসএম/ডিআরএ
�