বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:২৮:৫৮

এক নাস্তিকের প্রশ্নের চমৎকার উত্তর দিলেন ডা. জাকির নায়েক

এক নাস্তিকের প্রশ্নের চমৎকার উত্তর দিলেন ডা. জাকির নায়েক

ইসলাম ডেস্ক: পিসিটিভি বাংলার নিয়মিত আয়োজন প্রশ্নত্তোর পর্বে ডা.জাকির নায়েককে এক নাস্তিক জিজ্ঞাসা করেন যে, কোর'আন কী আল্লাহর বাণী না মুহাম্মদ সাঃ এর? ওই নাস্তিকের এই প্রশ্নের উত্তরে ডা. জাকির নায়েক চমৎকার ভাবে জ্যামিতিক উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। কোরআনের চিরন্তন সত্যতা ও আল্লাহর কালাম হওয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ডা. জাকির নায়েক বলেন, ১৪০০ বছর পূর্বে কোরআনে অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ আজকের আধুনিক বিজ্ঞান ১৪০০ বছর পর বিগব্যাংগ তত্ত্ব, পৃথিবীর আকার, চাঁদের আলো, গ্রহ-নক্ষত্রের পরিভ্রমণ, পানিচক্র, সমুদ্রে্র লোনা পানি ও মিঠা পানি, ভূ-তত্ত্ব ইত্যাদির অবতারণা করেছেন, যেগুলোর প্রমাণ সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, অবিশ্বাসীরা বলে বসতে পারে এটা ‘হঠাৎ করে মিলে যাওয়া’র মত একটা কিছু। ইংরেজীতে একে বলা হয় ‘Theory of Probablity’ বা ‘সম্ভাবনার সূত্র’। উদাহরণস্বরূপ একটি কয়েন যদি টস করা হয় তবে এ সূত্র অনুযায়ী সঠিক দিকটি অনুমান করার সম্ভবনা ½ ভাগ বা ৫০%। অর্থাৎ ‘হেড’ও পড়তে পারে, ‘টেইল’ও পড়তে পারে। আবার যদি দু’বার করা হয় তবে দু’বারই সঠিক অনুমানের সম্ভাবনা ½+½= ¼ ভাগ বা ২৫%। যদি তিন বার করা হয় তবে সম্ভাবনা ½+½+½= ⅛ ভাগ বা ১২.৫%। . এভাবে এই থিউরী অনুযায়ী যদি কুরআনকে বিচার করা যায় তবে প্রথমে ধরা যাক পৃথিবীর আকার নিয়ে। একটা মানুষ কোন বস্তুর আকার নিয়ে প্রায় ৩০ ধরনের চিন্তা করতে পারে। যেমন- সোজা, বর্তুলাকার, আয়তকার ইত্যাদি। আর অনুমান করে একটা আকার যদি নির্ধারণ করে তবে সূত্র অনুযায়ী তা সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ¹/৩০ ভাগ। চাঁদের আলো নিয়ে কোন অনুমানিক সিদ্ধান্ত সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ½ ভাগ অর্থাৎ ৫০% । আবার পৃথিবী সৃষ্টির উপাদান নিয়ে যদি অনুমান করা হয় তার যথার্থতার সম্ভাবনা ¹/১০০০০ ভাগ। অতঃপর সামষ্টিকভাবে এই তিনটি আনুমানিক উত্তর সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ¹/৩০×½× ¹/১০০০০ = ৬০০০০০ ভাগের ১ ভাগ বা .০১৭%। . এভাবে ‘সম্ভাবনার সূত্র’ অনুযায়ী তিনটি বিষয়ের আনুমানিক উত্তর সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা যদি মাত্র .০১৭% হয় তবে সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয় যে, কোরআনে বিজ্ঞান বিষয়ক যে হাজারটা বর্ণনা এসেছে তা ‘অনুমান করে বলা’ বা ‘আন্দাজে বলা’র সম্ভাবনাও জিরো ভাগ। সুতরাং যদি প্রশ্ন করা হয়, কে এভাবে সুনিশ্চিতসত্য ও প্রামাণ্য তথ্য দিতে পারেন। নিঃসন্দেহে তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি এই পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন। আর তিনিই হচ্ছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা যার পক্ষে এসব তথ্য দেওয়া সম্ভব। এভাবে তিনি অবিশ্বাসীদের নিকট বিভিন্নভাবে বিজ্ঞান ও যুক্তির আলোকে প্রমাণ দিয়েছেন যে, কুরআন আল্লাহর বাণী, তা রাসূল (সা:)-এর প্রখর বুদ্ধিপ্রসূত (!) কিছু নয়। ২৫ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ/ রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে