বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:০১:০৪

হযরত লূত (আ.)এর উম্মতরা যে কারণে কখনোই ঈমান আনেনি

হযরত লূত (আ.)এর উম্মতরা যে কারণে কখনোই ঈমান আনেনি

ইসলাম ডেস্ক: হযরত লূত (আ.) আল্লাহ তা‘আলার এক সম্মানিত নবী। তিনি সেই সব নবীদের একজন, যার উম্মতরা কোনদিনও ঈমান আনেনি। হযরত লূত (আ.)-এর জাতি যে কেবল ঈমান আনেনি, তা নয় বরং তাঁর জাতির লোকেরা ছিল সে কালের সবচেয়ে পাপিষ্ঠ লোক। হযরত লূত (আ.) সেই সব নবীদেরও একজন, যাদের জাতিকে আল্লাহ ইসলামের বিরোধিতা করার কারণে ধ্বংস করে দিয়ে ছিলেন। হযরত নূহ (আ.), হযরত হূদ (আ.) এবং হযরত সালিহ (আ.)-এর জাতির মতোই লূত (আ.)-এর জাতিকেও আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়ে ছিলেন। হযরত লূত (আ.) ছিলেন মহান নবী হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর ভাতিজা। হযরত ইবরাহীম (আ.) যখন নিজ দেশ ‘ইরাকে আল্লাহর দীন প্রচার শুরু করেন, সেখানে শেষ পর্যন্ত মাত্র দু’জন লোক তাঁর প্রতি ঈমান এনেছিলেন। তাঁদের একজন তাঁর স্ত্রী সারাহ। অপরজন তাঁরই ভ্রাতুষ্পুত্র লূত। তিনি যখন ‘ইরাক থেকে হিজরত করতে বাধ্য হন, তখন কেবল এ দু’জন লোকই তাঁর হিজরতের সাথী হন। লূত (আ.) বাইবেলে উল্লেখিত লোট। আল-কুরআন আল-কারীমে তিনি একজন বিশিষ্ট পয়গম্বর রূপে উল্লিখিত; কিন্তু বাইবেল হাগ্গাদা এবং খ্রীস্টান ধর্মযাজকদের নিকট তিনি সেইরূপ মর্যাদা লাভ করেননি। লূত (আ.) এইরূপ প্রসিদ্ধি কুর’আনেই প্রথম। আল-কুরআনে লূত (আ.)-এর ধর্ম প্রচারে প্রবল বিরোধিতার জন্য সাদোমবাসীদের উপর যে গজব নাজিল হয়েছিল তার উল্লেখ করে অবাধ্য লোকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। নূহ (আ.), হূদ (আ.), সালিহ (আ.), ইবরাহীম (আ.), মূসা (আ.) প্রমুখের ন্যায় লূত (আ.) ও হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর পূর্বগামী নির্বাচিত নবীদের অন্যতম। হিজরত ও নুবূওয়াত লাভ : বাদশাহ নমরূদের অত্যাচারে যখন নিজ দেশে ইসলাম প্রচার করা অসম্ভব হয়ে পড়ে, তখন হযরত লূত (আ.) পিতৃর্ব্য হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর সাথে দেশ ত্যাগ করেন। চাচার সাথে দীন প্রচারের কাজে ফিলিস্তিন, সিরিয়া হয়ে অফ্রিকার মিসর পর্যন্ত পাড়ি জমান। মহান নবী হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর ইসলাম প্রচারের সাথী হিসেবে লূত (আ.) অগাধ জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ফলে আল্লাহ তা‘আলা তাঁকেও নুবূওয়াত দান করেন এবং একটি পাপিষ্ঠ জাতির নিকটে ইসলাম প্রচারের গুরু দায়িত্বে নিযুক্ত করেন। কোন সে জাতি? কোন সে জাতি, যার কাছে দীন প্রচারের দায়িত্ব অর্পিত হয় লূত (আ.)-এরপর? আল্-কুরআনে এদেরকে ‘কওমে লূত বা লূতের জাতি, এবং ইখওয়ান লূত বা লূতের ভাই বলে উল্লিখিত হয়েছে। তাদের বাস স্থান সাদোমে (পরবর্তী কিংবদন্তিতে সাদূম)। বর্তমান সে অঞ্চলের নাম ট্রান্স জর্ডান। এটি ‘ইরাক ও ফিলিস্তিনের মধ্যভাগে অবস্থিত। সেকালে এ জাতির প্রধান শহরের নাম ছিল সদূম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন- فَلَمَّا رَأَى أَيْدِيَهُمْ لَا تَصِلُ إِلَيْهِ نَكِرَهُمْ وَأَوْجَسَ مِنْهُمْ خِيفَةً قَالُوا لَا تَخَفْ إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمِ لُوطٍ “সে যখন দেখল তাদের হাত ওর দিকে প্রসারিত হচ্ছে না, তখন তাদেরকে অবাঞ্ছিত মনে করলো এবং তাদের সম্বন্ধে তার মনে ভীতি সঞ্চার হলো। তারা বললো, ‘ভয় করও না, আমরা লূতের সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।” فَلَمَّا ذَهَبَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ الرَّوْعُ وَجَاءَتْهُ الْبُشْرَى يُجَادِلُنَ فِي قَوْمِ لُوطٍ “এরপর যখন ইবরাহীমের ভীতি দুরীভূত হলো এবং তার নিকট সুসংবাদ এসে গেল তখন সে লূতের সম্প্রদায় সম্বন্ধে আমার সাথে বাদানুবাদ করতে লাগলো।” وَيَاقَوْمِ لَا يَجْرِمَنَّكُمْ شِقَاقِي أَنْ يُصِيبَكُمْ مِثْلُ مَا أَصَابَ قَوْمَ نُوحٍ أَوْ قَوْمَ هُودٍ أَوْ قَوْمَ صَالِحٍ وَمَا قَوْمُ لُوطٍ مِنْكُمْ بِبَعِيدٍ “হে আমার সম্প্রদায়! আমার সাথে বিরোধ যেন কিছুতেই তোমাদের এমন অপরাধ না করায় যাতে তোমাদের ওপর তার অনুরূপ বিপদ অপতিত হবে যা আপতিত হয়েছিল নূহের সম্প্রদায়ের ওপর, হূদের সম্প্রদায়ের ওপর কিংবা সালিহের সম্প্রদায়ের ওপর; আর লূতের সম্প্রদায় তো তোমাদের হতে দূরে নয়।” وَقَوْمُ إِبْرَاهِيمَ وَقَوْمُ لُوطٍ “ইবরাহীম ও লূতের সম্প্রদায়।” وَعَادٌ وَفِرْعَوْنُ وَإِخْوَانُ لُوطٍ ‘আদ, ফির‘আওন ও লূত সম্প্রদায়।” লূত জাতির প্রধান শহর সাদূম ছাড়াও তাদের আরও অনেকগুলো শহর ছিল। চরম পাপাচারের কারণে মহান আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দেন। তাদের শহরগুলোকে তলিয়ে দেন। বর্তমানে যাতে লূত সাগর বা মৃত সাগর বলা হয়। তাদের শহরগুলো তলিয়ে এ সাগরেই মিশে গিয়েছিল। লূত সাগরের পূর্ব-দক্ষিণ অঞ্চলে আজও তাদের ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান আছে। হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর প্রতিনিধি হিসেবে এ এলাকাতেই হযরত লূত (আ.) দীন প্রচারের কাজে আত্ম নিয়োগ করেন। লূত জাতির পাপাচার : হযরত লূত (আ.)-এর জাতির মতো পাপিষ্ঠ জাতি তদানীন্তন বিশ্বজগতে ছিল বিরল। তাদের অশোভনীয় চরিত্রের কথা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তারা প্রকাশ্যে অশ্লীল কাজ এবং জন সমাবেশে কুকর্মে লিপ্ত হতো। ডাকাতি-রাহাজানি সন্ত্রাস ছিল তাদের নিত্য দিনের কাজ। তাদের এলাকায় কোনো ভাল মানুষ এসে নিরাপদে ফিরে যেতে পারত না। কোনো ব্যবসায়ী বণিক তাদের এলাকায় গেলে তাকে সব কিছু খুইয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হতো। তাদের মধ্যে সামান্যতম লজ্জা-শরম পর্যন্ত ছিল না। তাদের মধ্যে একজন সৎ লোকও খুঁজে পাওয়া যেত না যে অবৈধ কর্মে বাধা দিবে। কেউ পাপকার্য ঘৃণা করত না এবং প্রতিবাদও করত না। হযরত লূত (আ.)-এর বৃত্তান্ত সম্বন্ধে আল্লাহ তা‘আলা বলেন : وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُمْ بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِنْ الْعَالَمِينَ- إِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ شَهْوَةً مِنْ دُونِ النِّسَاءِ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ- وَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا أَخْرِجُوهُمْ مِنْ قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَتَطَهَّرُونَ- فَأَنجَيْنَاهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ كَانَتْ مِنْ الْغَابِرِينَ- وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ مَطَرًا فَانظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُجْرِمِينَ “এবং লূতকেও পাঠায়েছিলাম। সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, ‘তোমরা এমন কুকর্ম করতেছো যা তোমাদের পূর্বে বিশ্বে কেউ করেনি, তোমরা তো কাম-তৃপ্তির জন্য নারী ছেড়ে পুরুষের নিকট গমন কর, তোমরা তো সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।” উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বললো, ‘এদেরকে তোমাদের জনপদ হতে বহিষ্কৃত করও, এরা তো এমন লোক যারা অতিপবিত্র হতে চায়।’ এরপর তাকে ও তার স্ত্রী ছাড়া তার পরিজনবর্গকে উদ্ধার করেছিলাম, তার স্ত্রী ছিল পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত। তাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম, সুতরাং অপরাধীদের পরিণাম কী হয়েছিল তা লক্ষ্য করও।” وَلَمَّا جَاءَتْ رُسُلُنَا لُوطًا سِيءَ بِهِمْ وَضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَقَالَ هَذَا يَوْمٌ عَصِيبٌ- وَجَاءَهُ قَوْمُهُ يُهْرَعُونَ إِلَيْهِ وَمِنْ قَبْلُ كَانُوا يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ قَالَ يَاقَوْمِ هَؤُلَاءِ بَنَاتِي هُنَّ أَطْهَرُ لَكُمْ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَلَا تُخْزُونِي فِي ضَيْفِي أَلَيْسَ مِنْكُمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ- قَالُوا لَقَدْ عَلِمْتَ مَا لَنَا فِي بَنَاتِكَ مِنْ حَقٍّ وَإِنَّكَ لَتَعْلَمُ مَا نُرِيدُ- قَالَ لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً أَوْ آوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ- قَالُوا يَالُوطُ إِنَّا رُسُلُ رَبِّكَ لَنْ يَصِلُوا إِلَيْكَ فَأَسْرِ بِأَهْلِكَ بِقِطْعٍ مِنْ اللَّيْلِ وَلَا يَلْتَفِتْ مِنْكُمْ أَحَدٌ إِلَّا امْرَأَتَكَ إِنَّهُ مُصِيبُهَا مَا أَصَابَهُمْ إِنَّ مَوْعِدَهُمْ الصُّبْحُ أَلَيْسَ الصُّبْحُ بِقَرِيبٍ- فَلَمَّا جَاءَ أَمْرُنَا جَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهَا حِجَارَة مِنْ سِجِّيلٍ مَنْضُودٍ- مُسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ وَمَا هِيَ مِنْ الظَّالِمِينَ بِبَعِيدٍ “যখন আমার প্রেরিত ফিরিস্তাগণ লূতের নিকট আসলো তখন তাদের অগমনে সে বিষণ্ন হলো এবং নিজকে তাদের রক্ষায় অসমর্থ মনে করলো এবং বললো, ‘এটা নিদারুণ দিন!’ তার সম্প্রদায় তার নিকট উদ্ভ্রান্ত হয়ে ছুটে আসলো এবং পূর্ব হতে তারা কুকর্মে লিপ্ত ছিল। সে বললো, ‘হে আমার সম্প্রদায়! এরা আমার কন্যা, (অর্থাৎ লূত (আ.)-এর সম্প্রদায়ের কন্যাগণ। নবী নিজ সম্প্রদায়ের পিতৃতুল্য, তাই তিনি তাদেরকে নিজের কন্যা বলেছেন।) তোমাদের জন্য এরা পবিত্র। সুতরাং আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার মেহমানদের প্রতি অন্যায় আচারণ করে আমাকে হেয় করো না। তোমাদের মধ্যে কি কোনো ভাল মানুষ নেই? তারা বললো, ‘তুমি তো জানো, তোমার কন্যাদেরকে আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই; আমরা কি চাই তা তো তুমি জানই; সে বললো, ‘তোমাদের ওপর যদি আমার শক্তি থাকতো অথবা যদি আমি নিতে পারতাম কোনো শক্তিশালী আশ্রয়।’ তারা বললো, ‘হে লূত! আমরা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রেরিত ফিরিস্তা। ওরা কখনই তোমার নিকট পৌঁছুতে পারবে না। সুতরাং তুমি রাত্রির কোন এক সময়ে তোমার পরিবারবর্গসহ বের হয়ে পড় এবং তোমাদের মধ্যে কেউ পিছন দিকে তাকাবে না, তোমার স্ত্রী ব্যতীত। ওদের যা ঘটবে তারও তাই ঘটবে। প্রভাত তাদের শাস্তির জন্য নির্ধারিত সময়। প্রভাত কি নিকটবর্তী নয়? এরপর যখন আমার আদেশ অসলো তখন আমি জনপদকে উল্টায়ে দিলাম এবং ওদের ওপর ক্রমাগত বর্ষণ করলাম প্রস্তর কঙ্কর। যা তোমার প্রতিপালকের নিকট চিহ্নিত ছিল। এটা জালিমদের থেকে দূরে নয়।” قَالُوا إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمٍ مُجْرِمِينَ- إِلَّا آلَ لُوطٍ إِنَّا لَمُنَجُّوهُمْ أَجْمَعِينَ- إِلَّا امْرَأَتَهُ قَدَّرْنَا إِنَّهَا لَمِنْ الْغَابِرِينَ- فَلَمَّا جَاءَ آلَ لُوطٍ الْمُرْسَلُونَ- قَالَ إِنَّكُمْ قَوْمٌ مُنْكَرُونَ- قَالُوا بَلْ جِئْنَاكَ بِمَا كَانُوا فِيهِ يَمْتَرُونَ- وَأَتَيْنَاكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّا لَصَادِقُونَ- فَأَسْرِ بِأَهْلِكَ بِقِطْعٍ مِنْ اللَّيْلِ وَاتَّبِعْ أَدْبَارَهُمْ وَلَا يَلْتَفِتْ مِنْكُمْ أَحَدٌ وَامْضُوا حَيْثُ تُؤْمَرُونَ- وَقَضَيْنَا إِلَيْهِ ذَلِكَ الْأَمْرَ أَنَّ دَابِرَ هَؤُلَاءِ مَقْطُوعٌ مُصْبِحِينَ- وَجَاءَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ يَسْتَبْشِرُونَ- قَالَ إِنَّ هَؤُلَاءِ ضَيْفِي فَلَا تَفْضَحُون- وَاتَّقُوا اللَّهَ وَلَا تُخْزُونِي- قَالُوا أَوَلَمْ نَنْهَكَ عَنْ الْعَالَمِينَ- قَالَ هَؤُلَاءِ بَنَاتِي إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ- لَعَمْرُكَ إِنَّهُمْ لَفِي سَكْرَتِهِمْ يَعْمَهُونَ- فَأَخَذَتْهُمْ الصَّيْحَةُ مُشْرِقِينَ- فَجَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِنْ سِجِّيلٍ “ওরা বললো, ‘আমাদেরকে এক অপরাধী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্রেরণ করা হয়েছে- ‘তবে লূতের পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে নয়, আমরা অবশ্যই এদের সকলকে রক্ষা করব, ‘কিন্তু তার স্ত্রীকে নয়; আমরা স্থির করেছি যে, সে অবশ্যই পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।’ ফিরিস্তাগণ যখন লূত পরিবারের নিকট আসলো, তখন লূত বললো, তোমরা তো অপরিচিত লোক।’ তারা বললো, ‘না, ওরা যে বিষয়ে সন্দিগ্ধ ছিল আমরা তোমার নিকট তাই নিয়ে এসেছি; ‘আমরা তোমার নিকট সত্য সংবাদ নিয়ে এসেছি এবং অবশ্যই আমরা সত্যবাদী; ‘সুতরাং তুমি রাত্রির কোন এক সময়ে তোমার পরিবারবর্গসহ বের হয়ে পড় এবং তুমি তাদের পশ্চাদনুসরণ কর এবং তোমাদের মধ্যে কেউ যেন পিছন দিকে না তাকায়; তোমাদেরকে যেথায় যেতে বলা হচ্ছে তোমরা সেথায় চলে যাও।’ তথ্যসূত্র” উইকিপিডিয়া ২৬ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ/ রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে