ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ – ﻗﺎﻝ: ﺳﺄﻟﺖُ
ﺍﻟﻨﺒﻲَّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ :ﻢﻠﺳ ﻭ ﺃﻱُّ ﺍﻟﻌﻤﻞ ﺃﺣﺐُّ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻠﻪ؟ :ﻝﺎﻗ
« ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻋﻠﻰ ﻭﻗﺘﻬﺎ ».
“আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ রাদিয়াল্লাহ আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় আমল কোনটি? তিনি বলেন, সময়মত সালাত আদায় করা”।
আল্লামা ইব্ন বাত্তাল রহ. বলেন, সালাতকে সালাতের প্রথম সময়ের মধ্যে আরম্ভ করা, দেরিতে আরম্ভ করা হতে অধিক উত্তম। কারণ, সালাত প্রিয় আমল হওয়ার জন্য সালাতকে মোস্তাহাব সময়ের মধ্যে আদায় করা শর্ত করা হয়েছে।
ইমাম তাবারী রহ. বলেন, “যে ব্যক্তি সালাতসমূহ নির্ধারিত সময়ে আদায় করার কষ্ট কম হওয়া এবং সময়মত আদায় করার মহান ফযিলত সম্পর্কে জানা থাকা স্বত্বেও কোনো প্রকার ওযর ছাড়া ফরয সালাতসমূহকে নির্ধারিত সময়ে আদায় করে না, সে অন্যান্য দায়িত্ব সম্পর্কে আরও বেশি উদাসীন” । সুতরাং সালাতকে সালাতের ওয়াক্তের বাইরে আদায় করা হারাম । আল্লাহ রাব্বুল আলামীনে এ বিষয়ে বলেন,
﴿ ﻓَﻮَﻳۡﻞٞ ﻟِّﻠۡﻤُﺼَﻠِّﻴﻦَ ٤ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢۡ ﻋَﻦ ﺻَﻠَﺎﺗِﻬِﻢۡ ﺳَﺎﻫُﻮﻥَ ٥
﴾ [ :ﻥﻮﻋﺎﻤﻟﺍ ٤، ٥ ]
অতএব সেই সালাত আদায়কারীর জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজদের সালাতে অমনোযোগী। [সূরা মাউন, আয়াত: ৪, ৫] আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বাণী: ﻟِّﻠۡﻤُﺼَﻠِّﻴﻦَ অর্থাৎ ‘সালাত আদায়কারী’ দ্বারা উদ্দেশ্য, যারা সালাত আদায়করার যোগ্য, আর তারা সালাত আদায় করার দায়িত্বপ্রাপ্ত । তারপর তারা তাদের
নিজেদের সালাত আদায় করা হতে অমনোযোগী। এই ‘অমনোযাগী’ কয়েকভাবে হতে পারে ।
এক- তারা একেবারে সালাত আদায় করা হতে গাফেল বা অমনোযোগী।
দুই- তারা শরী‘আত নির্ধারিত
সময়ে সালাত আদায় করা হতে অমনোযোগী। ফলে তারা এক ওয়াক্তের সালাতকে অন্য ওয়াক্তের মধ্যে নিয়ে আদায় করে। আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহ আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, তারা সালাতকে নির্ধারিত সময় থেকে দেরীতে আদায় করে। আবুল আলীয়া হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “তারা সালাতকে নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করে না এবং সালাতের রুকু ও সেজদা ভালোভাবে আদায় করে না” ।
৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর