শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:২৫:২৮

মহাসাগরে বিশ্ময়কর ভাসমান সেই মসজিদের নির্মান ইতিহাস

মহাসাগরে বিশ্ময়কর ভাসমান সেই মসজিদের নির্মান ইতিহাস

ইসলাম ডেস্ক: মরক্কোর ভাসমান মসজিদ দেশটির কাসাব্লাঙ্কা শহরে অবস্থিত। বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান এ মসজিদটি তৈরি করেণ। বাদশাহ হাসানের ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউয়ের নকশায় ফরাসি কোম্পানি বয়গিসের প্রকৌশলীরা এটির নির্মাণ কাজ করেণ। মসজিদটির তিনভাগের একভাগ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর অবস্থিত। সাগরের কোনো জাহাজ থেকে মসজিদটি দেখলে মনে হয় মসজিদটি যেন দুলছে আর মুসুল্লিরা পানির ওপর নামাজ পড়ছেন। একারনেই মসজিদটিকে ভাসমান মসজিদ বলা হয়। মসজিদটিতে একই সাথে একলাখ মানুষ নামাজ পড়তে পারেন। এর মিনারের উচ্চতা ২০০ মিটার আর মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার। ভাসমান মসজিদের ছাদ তিন মিনিট অন্তর স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যায়। ফলে মসজিদের ভেতরে প্রাকৃতিক আলো ও মুক্ত বাতাস প্রবেশ করতে পারে। তবে বৃষ্টির সময় ছাদটি খোলা হয় না। প্রায় সাড়ে বাইশ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এ মসজিদের ভেতরে চাইলেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা সেন্ট পিটার্সকেও বসিয়ে দেওয়া যাবে। ভাসমান মসজিদের মূল ভবনের সাথেই রয়েছে কোরআন শিক্ষালয়, ওজুখানা, গ্রন্থাগার, কনফারেন্স রুম। মসজিদের অভ্যন্তরে পুরোটাই টাইলস দিয়ে বসানো, কোথাও কোথাও আবার সোনার পাত দিয়ে মোড়ানো হয়েছে। ২৫০০ পিলারের ওপর দাড়িয়ে থাকা এ মসজিদের আশেপাশে ১২৪ টি ঝরনা আর ৫০ টি ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি রয়েছে। প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক ও কারুশিল্পী দিনে দুই শিফটে কাজ করে সাত বছরে মরক্কোর এই ভাসমান মসজিদ নির্মান করেন। মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালের আগষ্টে আর উদ্বোধন হয় ১৯৯৩ সালের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:)’র দিনে । আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর বিলাসবহুল এ মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল সেসময়ের ৮০ কোটি ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ দাড়ায় প্রায় পাঁচ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ২৭ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ/ রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে