শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:০৬:১১

আল্লাহ পাক যে ব্যক্তির গোনাহগুলো প্রতিদিন মুছে দেন

আল্লাহ পাক যে ব্যক্তির গোনাহগুলো প্রতিদিন মুছে দেন

ইসলাম ডেস্ক: আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আল আমিন আমাদের জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করাকে ফরজ করেছেন। নামাজ মূলত ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ এবং মোমিনের উৎকৃষ্ট নিদর্শন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'আমাদের এবং তাদের (মুনাফিকদের) মধ্যে যে অঙ্গীকার রয়েছে, তা হলো নামাজ। সুতরাং যে নামাজ ত্যাগ করল সে কুফরকেই প্রকাশ করল।' (তিরমিজি : ২/৯০)। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, 'তোমাদের ধারণা কী, যদি তোমাদের কারও দরজার সম্মুখে একটি প্রস্রবণ থাকে যাতে সে প্রত্যহ পাঁচবার গোসল করে, তবে কি তার দেহে কোনো ময়লা বাকি থাকবে? সাহাবিরা উত্তরে বললেন, তার শরীরে কোনো ময়লা থাকবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, 'এহেন উদাহরণ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। এর দ্বারা আল্লাহ পাক নামাজির গোনাহগুলো মুছে দেন।' (বোখারি : ১/৭৬)। কোরআনুল কারিমের অনেক স্থানে নামজের প্রতি যত্নবান হওয়ার গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যেমন- আল্লাহ পাক বলেন, 'তোমরা সব নামাজের হেফাজত করো, বিশেষত মধ্যবর্তী নামাজকে। আর আল্লাহর সমীপে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।' (সূরা বাকারা : ২৩৮)। নামাজের হেফাজত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, নামাজের ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, মুস্তাহাব এবং সময়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে নামাজকে সদা-সর্বদা আদায় করা। যদি এভাবে নামাজকে সংরক্ষণ করা হয়, তাহলে নামাজও নামাজিকে সংরক্ষণ করবে। এছাড়া হাদিসে সময়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে নামাজ আদায় করাকে উত্তম ইবাদত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইবনে মাসউস (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞেস করলাম, কোনো আমলটি আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়? তিনি বললেন, যথাসময়ে নামাজ আদায় করা। (বোখারি : ১/৭৬)। উপর্যুক্ত আয়াতের দ্বিতীয় অংশের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নামাজে নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়ানো, এদিক-ওদিক না তাকিয়ে দৃষ্টিকে নত রাখা এবং অন্তরকে দুনিয়াবি জল্পনাকল্পনা থেকে পরিষ্কার রাখা। জায়েদ বিন আরকাম (রা.) বলেন, 'আমরা ইসলামের ঊষালগ্নে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর পিছে নামাজ রত অবস্থায় পরস্পর কথা বলতাম। আল্লাহ পাক উল্লেখিত আয়াত (দ্বিতীয় অংশ) অবতীর্ণের মাধ্যমে এর থেকে বিরত এবং নামাজে নিশ্চুপ থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।' (শুয়াবুল ঈমান : ৩১৫৯)। অপর এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'যে ব্যক্তি আমার মতো অজু করে এমনভাবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, সে নামাজে তার অন্তরের সঙ্গে কথোপকথন করে নাই, তাহলে তার অতীতের অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া হবে।' (বোখারি)। এছাড়া আল্লাহর রাসুল (সা.) নামাজের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে এক হাদিসে এরশাদ করেন, 'যদি তারা জানত এশা এবং ফজরের নামাজের মধ্যে কি (প্রতিদান) রয়েছে, তাহলে তারা এর জন্য হামাগুড়ি দিয়ে হলেও উপস্থিত হতো।' (বোখারি : ১/৮৬)। ২৭ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ/ রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে