রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:২৫:১২

বছরের শ্রেষ্ঠ দিন

বছরের শ্রেষ্ঠ দিন

ইসলাম ডেস্ক : ‍আজ বুধবার পবিত্র ঈদুল আজহা। এ দিন ঈদের সালাত আদায় করা, এর জন্য সুগন্ধি ব্যবহার, পরিচ্ছন্নতা অর্জন, সুন্দর পোশাক পরিধান করা, তাকবীর পাঠ করা, কোরবানির পশু জবেহ করা ও তার গোশত আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা।

এসব কাজের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য অর্জন ও সন্তুষ্টি অন্বেষণের চেষ্টা করা।

এ দিনটিকে শুধু খেলাধুলা, বিনোদন ও পাপাচারের দিনে পরিণত করা কোনোভাবেই ঠিক নয়।

এ দিনের একটি নাম হলো ইয়াওমুল হজ্জিল আকবর বা শ্রেষ্ঠ হজের দিন। যে দিনে হাজীগণ তাদের পশু জবেহ করে হজকে পূর্ণ করেন।

হাদিসে এসেছে : ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) কোরবানির দিন জিজ্ঞেস করলেন, এটা কোন দিন? সাহাবাগণ উত্তর দিলেন এটা ইয়াওমুন্নাহার বা কোরবানির দিন।

রাসূলে কারীম (সা.) বললেন : এটা হলো ইয়াওমুল হজ্জিল আকবর বা শ্রেষ্ঠ হজের দিন। (আবু দাউদ-১৯৪৫, হাদিসটি সহিহ)।

কোরবানির দিনটি হলো বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। আব্দুল্লাহ ইবনে কুর্ত (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলে কারীম (সা.) বলেছেন : আল্লাহর নিকট দিবস সমূহের মাঝে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হলো কোরবানির দিন।
 
তারপর পরবর্তী তিনদিন। (আবু দাউদ-১৮৬৫, হাদিসটি সহিহ)।

কোরবানির দিনটি হলো ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও মর্যাদাসম্পন্ন। কেননা এ দিনটি বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনে সালাত ও কোরবানি একত্র হয়, যা ঈদুল ফিতরের সালাত ও সদকাতুল ফিতরের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।

আল্লাহ তা’য়ালা তার রাসূলকে কাওসার দান করেছেন। এর শুকরিয়া আদায়ে তিনি তাকে এ দিনে কোরবানি ও সালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। (লাতায়েফুল মাআরিফ : ইবনে রজব (র.), পৃষ্ঠা-৪৮২-৪৮৩,)

কোরবানি : পশু উৎসর্গ করা হবে এক আল্লাহর এবাদতের উদ্দেশ্যে. যার কোনো শরিক নেই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তার এবাদত করার জন্য। যেমন তিনি বলেন : ‘আমি জিন ও মানুষকে এ জন্য সৃষ্টি করেছি যে, তারা শুধু আমার এবাদত করবে। ( সূরা জারিয়াত : ৫৬)। আল্লাহ তা’য়ালা তার এবাদতের জন্য মানব জাতিকে সৃষ্টি করলেন।

এবাদত বলতে যেসব কথা ও কাজ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন, হোক সে কাজ প্রকাশ্যে বা গোপনে। (ফতহুল মজিদ : ১৭) আর এ এবাদতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তার উদ্দেশ্যে পশু জবেহ করা। এ কাজটি তিনি শুধু তার উদ্দেশ্যে করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

‘আমার সালাত, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে। তার কোনো শরিক নাই এবং আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই প্রথম মুসলিম।’ (সূরা আনআম : ১৬২-১৬৩)।

ইবনে কাসীর (র.) বলেন : এ আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নির্দেশ দিয়েছেন যে, সব মুশরিক আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে পশু জবেহ করে তাদের যেন জানিয়ে দেয়া হয় আমরা তাদের বিরোধী। সালাত, কোরবানি শুধু তার নামেই হবে যার কোনো শরিক নাই।

এ কথাই আল্লাহ তা’য়ালা সূরা কাওসারে বলেছেন : ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কোরবানি কর।’

১৫.১০.২০১৩/এমটিনিউজ২৪/এসএইচএইচ/এসএম/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে