বেশিরভাগ মানুষই মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন
ইসলাম ডেস্ক: আদম (আ.) ও হাওয়ার প্রতি শয়তানের কুমন্ত্রণা দেয়ার ঘটনা বর্ণনার পর আদম সন্তানদের জন্য গঠনমূলক কিছু কর্মসূচি দেয়া হয়েছে পবিত্র কুরআনে। তাদেরকে শয়তানের ধোঁকা না খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে এবং বেশ কয়েকবার ‘হে আদম সন্তানগণ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। সুরা আরাফের ২৬ নম্বর আয়াত হচ্ছে এমনই এক আয়াত। এই আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন:
হে বনী-আদম! আমি তোমাদের জন্যে পোশাক নাজিল করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং নাজিল করেছি সাজসজ্জার বস্ত্র; আর রয়েছে খোদাভীতি বা পরহিজগারির পোশাকও। এ পোশাকই সর্বোত্তম। এসবই আল্লাহর কুদরতের অন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা (আল্লাহর নেয়ামতের ব্যাপারে) চিন্তা-ভাবনা করে বা উপদেশ নেয়।
বেশিরভাগ মানুষই যে বিষয়টির ব্যাপারে উদাসীন তা হল মৃত্যু ও পার্থিব জীবনের অবসান। কেবল মানুষেরই যে মৃত্যু আছে তা নয়। জাতি ও সভ্যতাগুলোরও মৃত্যু রয়েছে। বড় বড় অনেক সভ্যতা ইতিহাসের এক বিশাল অংশ জুড়ে মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে দেয়ার পর অবশেষে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অত্যাচার, ব্যভিচার ও হঠকারিতার কারণে। সম্পদ ও ক্ষমতার অধিকারীরা বেশিরভাগ সময়ই এটা ভেবেছে যে তাদের ক্ষমতা ও সম্পদ সব সময়ই অক্ষত বা অক্ষুণ্ণ থাকবে। কিন্তু মহান আল্লাহ সুরা আ’রাফের ৩৪ নম্বর আয়াতে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে:
প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একটি মেয়াদ রয়েছে। যখন তাদের মেয়াদ এসে যাবে, তখন তারা না এক মুহূর্ত পিছে যেতে পারবে, আর না এগিয়ে আসতে পারবে।
২৯ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ/ রাসেল/মাহমুদ