রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:৪৫:৪৮

নবীদের মধ্যে সবচেয়ে লজ্জাশীল ও পর্দানশীল ছিলেন যিনি

নবীদের মধ্যে সবচেয়ে লজ্জাশীল ও পর্দানশীল ছিলেন যিনি

ইসলাম ডেস্ক: ইসলামে এমন একজন নবী ছিলেন যিনি ছিলেন অন্য নবীদের চেয়ে লজ্জাশীল ও পর্দানশীল ব্যক্তি। এ সম্পর্কে আবু হুরায়রা বর্নিত একটি হাদিসে জানা যায়, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘মূসা (আঃ) ছিলেন খুব লজ্জাশীল ও পর্দানশীন ব্যক্তি। তাঁর লজ্জাশীলতার কারণে তাঁর দেহের কোন অংশ দেখা যেত না। ফলে বনী ইসরাঈলের লোকেরা তাঁকে যা কষ্ট দেয়ার দিল। তারা বলল, তাঁর চামড়ায় কোন দোষ-ত্রুটি থাকার কারণেই তিনি এ পর্দা করছেন। তাঁর চামড়ায় কুষ্ঠরোগ বা তাঁর হার্নিয়া রয়েছে কিংবা সে মহামারীতে আক্রান্ত।


অন্যদিকে আল্লাহ তা‘আলা চান যে, তারা মূসা (আঃ)-কে যা বলছে তা থেকে তাঁকে মুক্ত করবেন। অতঃপর তিনি একদিন একাকী (গোসলের উদ্দেশ্যে) নির্জনে গেলেন। অতঃপর তিনি তাঁর কাপড় একটা পাথরের উপর রেখে গোসল করতে লাগলেন। অতঃপর তিনি গোসল শেষ করে কাপড় নেয়ার জন্য পাথরের নিকট আসলেন। আর পাথর তাঁর কাপড় নিয়ে দূরে সরতে লাগল। অতঃপর তিনি তাঁর লাঠি নিয়ে পাথরের খোঁজে ছুটলেন এবং বলতে শুরু করলেন, হে পাথর! আমার কাপড়, হে পাথর! আমার কাপড় (লুঙ্গি)।

অবশেষে বনী ইসরাঈলের একটা দলের নিকটে গিয়ে থামল। ফলে তারা তাঁকে বস্ত্রহীন অবস্থায় দেখল যে, আল্লাহ তাকে কতই না সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি তাকে তাদের কথিত দোষ থেকে মুক্ত করলেন। তারা বলল, আল্লাহর কসম! মূসা (আঃ)-এর কোন রোগ-ব্যাধি নেই। পাথর দাঁড়াল, মূসা (আঃ) তাঁর কাপড় নিয়ে পরলেন এবং তাঁর লাঠি দিয়ে পাথরকে কঠিনভাবে প্রহার শুরু করলেন। আল্লাহর কসম! তাঁর প্রহারে পাথরে তিন, চার বা পাঁচটি আঘাতের চিহ্ন বিদ্যমান ছিল।

আর এটাই প্রমাণ বহন করে আল্লাহর বাণী- ‘হে মুমিনগণ! যারা মূসাকে কষ্ট দিয়েছে, তোমরা তাদের ন্যায় হয়ো না। অতঃপর আল্লাহ তাকে তাদের কথিত অপবাদ থেকে মুক্ত করলেন, আর তিনি ছিলেন আল্লাহর নিকট মর্যাদাবান’ (বুখারী হা/২৭৮, ৩৪০৪; তিরমিযী হা/৩২২১; মিশকাত হা/৫৭০৬)
২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে