ইসলাম ডেস্ক : রাসূলে করীম (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি পর্বত থেকে পড়ে আত্মহত্যা করবে সে জাহান্নামের আগুনে অবস্থান করবে। সার্বক্ষণিক সে তাতে (পর্বতে) উঠতে এবং নামতে থাকবে। (এটা হলো কাফিরদের ব্যাপারে। মুসলমান আত্মহত্যাকারী আত্মহত্যার নির্ধারিত শাস্তি ভোগের পর অন্যান্য অপরধী মুসলমানদের ন্যায় জান্নাতে প্রবেশ করবে।)
আর যে ব্যক্তি বিষপানে আত্মহত্যা করবে, তার বিষ তার হাতে থাকবে, যা সে জাহান্নামের আগুনে সারাক্ষণ পান করতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি কোন লৌহনির্মিত অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করবে তার সেই লৌহনির্মিত বস্তুটি তার হাতে থাকবে, যা সে জাহান্নামের আগুনে নিজের পেটে ঢুকাতে থাকবে। (বুখারী)
দাম্ভিকের শাস্তি
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরাশাদ করেন, অহঙ্কারীদেরকে পিপীলিকার সমান অবয়বে কিয়ামতের দিন উঠানো হবে কিন্তু তাদের আকৃতি হবে মানুষের। অতপর তিনি বলেন, চতুর্দিক থেকে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা তাদেরকে ঘিরে ধরবে।
তিনি আরও বলেন, তাদেরকে জাহান্নামের কারাগারের দিকে এভাবে হাঁটিয়ে নেয়া হবে- এ কারাগারের নাম ‘বেলিস’। তাদের উপর আগুন প্রজ্জ্বলনকারী আগুন ছড়িয়ে দেয়া হবে এবং তাদেরকে ‘তীনাতুল খাবাল’ অর্থাৎ জাহান্নামীদের শরীর নিঃসৃত পানীয় পান করানো হবে। (মিশকাত)
তিরমিযী শরীফের একটি বর্ণনায় আছে, নিশ্চয়ই জাহান্নামে একটি বিস্তীর্ণ মাঠ রয়েছে যাকে হাবহাব বলা হয়। এতে সীমালঙ্ঘনকারীরা অবস্থান করবে।
০৪ মার্চ ২০১৪/এমটিনিউজ২৪/এমআর/আর/এসএম/