মঙ্গলবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৪:৫৪:৫০

ইসলামে নামাজের মর্যাদা ও ফজিলত

ইসলামে নামাজের মর্যাদা ও ফজিলত

ইসলাম ডেস্কধ সালাত এর আভিধানিক অর্থ দুআ। শরীয়তের পরিভাষায় সালাত হল, নির্দিষ্ট কিছু কথা ও কাজের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করা, যা তাকবীর তথা আল্লাহু আকবা বলে শুরু করতে হয় এবং তাসলীম তথা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্ বলে শেষ করতে হয়। নামাযের ফযীলত : আল্লাহ তা’য়ালা বলেন: (إنَّ الصَّلاَةَ تَنْهَى عَنْ الْفَحْشاَءِ وَالْمُنْكَرِ وَلَذِكْرُ اللهِ أكْبَرُ وَاللهُ يَعْلَمُ ماَ تَصْنَعُوْنَ) “নিশ্চয় নামাজ অশ্লিলতা ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে, আর আল্লাহর যিকির (স্মরণ) হল সব চাইতে বড়, এবং তোমরা যা কর সে স¤পর্কে তিনি জ্ঞান রাখেন।” (সূরা আনকাবুত: ৪৫) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেনঃ أرأيتُم لَوْ أنَّ نَهْراً بِباَبِ أحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ, هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ ؟ قاَلُوْا : لاَ يَبْقىَ مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ . قَالَ: فَذَلِكَ مِثْلُ الصَّلَواَتِ الْخَمْسِ, يَمْحُوْ اللهُ بِهِنَّ الْخَطاَياَ “তোমরা কি মনে কর, তোমাদের কারো ঘরের সামনে যদি একটি নদী প্রবাহিত থাকে। এবং প্রতিদিন সে উহাতে পাঁচ বার গোসল করে, তবে তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে কি? তাঁরা (সাহাবাগণ) বললেনঃ তার শরীরে কোন ময়লাই বাকী থাকতে পারে না। তিনি বললেনঃ এরূপ উদাহরণ হল পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ক্ষেত্রেও। এভাবে নামাযের বিনিময়ে আল্লাহ্ নামাজীর যাবতীয় (ছোট) পাপ মোচন করে দেন।” (সহীহ বুখারী। অনুচ্ছেদ: পাঁচ ওয়াক্ত নামায গুনাহ সমূহের কাফফারা স্বরূপ) ইসলামে নামাযের মর্যাদা : ১) ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামায হল দ্বিতীয় স্তম্ভ। কালেমার পরেই উহার স্থান। আল্লাহ তায়ালা স্বীয় রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে উর্ধ্বাকাশে মেরাজে নিয়ে সরাসরি কথপোকথনের মাধ্যমে মুসলিম জাতির উপর এই নামায ফরয করেছেন। ২) বান্দা সর্বপ্রথম নামাযের ব্যাপারেই জিজ্ঞাসিত হবে। আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ( إنَّ أوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ بِصَلاَتِهِ , فَإنْ صَلَحَتْ فَقَدْ أفْلَحَ وَأنْجَحَ ,وَإنْ فَسَدَتْ فَقَدْ خاَبَ وَخَسِرَ…) “(কিয়ামতের ময়দানে) বান্দার সর্বপ্রথম যে আমলের হিসাব নেয়া হবে তা হল এই নামায। উহা যদি বিশুদ্ধ হয়ে যায় তবে সে মুক্তি পেয়ে গেল ও সফল হল। আর উহা যদি বিনষ্ট বা বরবাদ হয়ে যায়, তবে সে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গেল।” (তিরমিযী, নাসাঈ, আবু দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্। হাদীছের ভাষ্য নাসাঈর) ১ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ/ রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে