ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দেয়া শিরকের পর সবচেয়ে বড় গোনাহ। এমনকি এটি মানুষ হত্যা, অন্যের সম্পদ লুণ্ঠন, ব্যভিচার, চুরি ও মদপানের চেয়েও মারাত্মক গোনাহ। যার শাস্তি দুনিয়া ও আখেরাত উভয় স্থানেই ভোগ করতে হবে (কিতাবুস সালাত, ইবনে কায়য়ুম, পৃ. ১৬)।
মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেয় আল্লাহ পাক তার হতে তাঁর জিম্মাদায়িত্ব উঠিয়ে নেন’ (বুখারি-১৮, ইবনে মাজাহ-৪০৩৪, মুসনাদে আহমদ-২৭৩৬৪)।
অর্থাৎ যে নামাজ ছেড়ে দিলো সে যেন আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ছেদ করল।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.) সহ অনেক ইমামের মতে, নামাজ তরককারী কাফের নয়, ফাসেক বলে গণ্য হবে। কারণ রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মনে প্রাণে বিশ্বাস করবে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (বুখারি-৫৪০১)। তবে তাকে প্রথমে বহুকাল যাবৎ জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করতে হবে।
ফাসেক ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য হলো কাফের চিরস্থায়ী জাহান্নামি এবং ফাসেক বহুকাল যাবৎ জাহান্নামি। অর্থ্যাত যে ব্যক্তি মনে প্রাণে বিশ্বাস করবে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই সে নামাজ আদায় না করলে চিরস্থায়ী না হলেও জাহান্নামের শাস্তি অবধারিত। বেনামাজি জাহান্নামের ফেরেশতারা জাহান্নামে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলবে, আমরা বেনামাজি ছিলাম (সূরা মুদ্দাসির-৪৩)।
ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহহাব (র:) বলেন, ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দিলে কারো ঈমান থাকে না। কারণ মহান আল্লাহ বলেন, যদি তোমরা সীমালঙ্ঘন করার পর তওবা করো, নামাজ কায়েম করো এবং জাকাত দান করো তবেই তোমরা দ্বীনের মধ্যে শামিল বলে গণ্য হবে (সূরা তাওবা : ১১)।
২৮ আগস্ট,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর