ইসলাম ডেস্ক : রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেনঃ আহংকারীদের পিপীলিকার সমান অবয়বে কিয়ামতের দিন উঠানো হবে কিন্তু তাদের আকৃতি হবে মানুষের।
অতপর তিনি বলেন, চতুর্দিক থেকে লাঞ্ছনা-গঞ্ছনা তাদেরকে ঘিরে ধরবে।
তিনি আরও বলেন, তাদেরকে জাহান্নামের কারাগারের দিকে এভাবে হাঁটিয়ে নেয়া হবে। এ কারাগারের নাম ‘বেলিস’। তাদের উপর আগুন প্রজ্বলনকারী আগুন চড়িয়ে দেয়া হবে এবং তাদেরকে ‘তীনাতুল খাবাল’ অর্থাৎ জাহান্নামীদের শরীর নিঃসৃত পানীয় পান করানো হবে। (মিশকাত)
তিরমিযী শরীফের একটি বর্ণনায় আছে, নিশ্চয়ই জাহান্নামে একটি বিস্তীর্ণ মাঠ রয়েছে যাকে হাবহাব বলা হয়। এতে সীমালংঘনকারীরা অবস্থান করবে।
রিয়াকার ইবাদতকারীর শাস্তি :-
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেনঃ ‘জুব্বুল হুয়ন’ (দুর্ভাবনার কূপ) থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর। সাহাবা-ই-কিরাম অরয করলেন, ‘জুব্বুল হুয়ন কি জিনিস?
তিনি ইরশাদ করেনঃ এটা জাহান্নামের একটি কূপ। জাহান্নাম প্রতিদিন এর থেকে চারশ বার নিস্কৃতি কামনা করে। আরয করা হল, এতে কারা যাবে?
তিনি বলেন, লোক দেখানো আমলকারী ব্যক্তিরা। (তিরমিযী)
ইবনে মাযার একটি বর্ণনায় আছে, এরপর তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্‘র নিকট সর্বাপেক্ষ নিকৃষ্ট ইবাদতকারী তারা, যারা অত্যাচারী শাসকদের নিকট আসা-যাওয়া করে অর্থাৎ তাদের তোষামোদ ও চাটুরিতা করার জন্য যাতায়াত করে (মিশকাত)।
৪ ফেব্রয়ারি ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে