মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন, ‘তুমি কি লক্ষ্য কর নাই আল্লাহ কিভাবে উপমা দিয়া বুঝাইয়াছেন যেন কালেমা তাইয়্যেবা একটি পবিত্র বলিষ্ট উত্তম বৃক্ষ, উহার মূল মাটির গভীরে সুদৃঢ় প্রতিষ্ঠিত এবং উহার শাখা-প্রশাখা মহাশূন্যে বিস্তীর্ণ, উহার সবসময় আল্লাহর অনুমতিক্রমে স্বীয় ফল প্রদান করিতে থাকে, সূরা ইব্রাহীম,-২৪-২৫
প্রতিনিয়ত দৈনিক ৫ বার প্রত্যেক মুসলিম এলাকায় মসজিদের মুয়াজ্জিনগণ নামাজের সময় এই কালেমার মাধ্যমে নামাজ ও জামাতের দিকে আহ্ববান করে থাকেন। তাই এই কালেমা পাঠ করে/পড়ে তার আলোকেই আমাদের জীবন গঠন করতে হবে।
তাই আল্লাহতায়ালা মহাগ্রন্থ আলকোরআনে বার বার এই কালেমার কথা উল্লেখ করেছেন। বীজ বপন না করলে যেমন গাছ হয় না, তেমনি এই কালেমা মানুষের হ্নদয়-মনে ভাল করে শিকড় না বাঁধলে মানুষের জীবনক্ষেত্রে ইসলাম ও ঈমানের গাছ জন্মাতে পারে না। বীজ বপন করলে যেমন গাছ হয় এবং সেই গাছে কাণ্ড, ডাল-পালা, ফুল-ফল ইত্যাদি হয়ে থাকে ঠিক তেমন ভাবে মানুষ যখন এই কালেমার অর্থ খুব ভাল করে বুঝে মনে-প্রাণে গ্রহণ করে ইসলামের বিধানাবলী যেমন নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাতসহ মানব জীবনের সর্বদিক আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পালন করতে থাকবে। তখনই তার জীবনে উন্নতি আসবে, এই কালেমা এমন একটি পবিত্র ও সম্মানিত বাণী, যা পাঠ করার সাথে সাথে মানব জীবনের সমস্ত পাপ মোচন হয়ে পাঠকারী জান্নাতী বলে ঘোষিত হয়। এই কালেমা আকাশ-জমিনের সমস্ত ব‘ সামগ্রী হতে সম্মানিত ও দামী।
এই পবিত্র কালেমাটি আরবী ভাষায় লিখিত। এই কালেমার প্রতিটি শব্দ বিশেষ অর্থবোধক। সেই অর্থের প্রভাবে মানুষের চিন্তারাজ্যে সৃষ্টি হয় এক বিরাট ইসলামী বিপ্লব, মানব জীবনকে প্রবাহিত করে এক নতুন ধারায়। তবে এই কালেমা পাঠ/পড়া আলাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এই কালেমা অত্যন্ত মহান ও সর্বশ্রেষ্ঠ একটি বাক্য। আল্লাহতায়ালা বলেন, এই কালেমার সত্যতা স্বীকার করেছে সমস্ত ফেরেস্তা এবং জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ। এটা অতীব সত্য ঘোষণা, ন্যায়-ইনাসাফের অকাট্য প্রতীক, এই কালেমার দ্বারা যা ঘোষণা করা হয় তাই সত্য ও যথার্থ। এটা ইসলাম ও মুসলমানের মূল ঘোষণা মন্ত্র।
এই কালেমা তাওহিদী আকীদার বলিষ্ঠ ঘোষণা এবং শেরকী আকীদার বিপরীত বাক্য। এই কালেমার ঘোষণার মাধ্যমেই একজন মানুষ আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে পরিগণিত হয়। এই কালেমার পূর্ণ ফায়দা অর্জনের লক্ষ্যে সাতটি শর্ত পূরণ করতে হয়, ১• জ্ঞান, ২• দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা, ৩• পরম নিষ্ঠাবোধ, ৪• মুনাফেকীর গন্ধ না থাকা, ৫• ঐকান্তিক ভালবাসা লাভ করা, ৬• পূর্ণ আনুগত্য পোষণ করা, ৭• বিপরীত ব‘ অস্বীকার করা, এতে প্রমাণিত হয় যে, কালোমা তাইয়্যেবা না পড়ে যেমন ইসলামের মধ্যে প্রবেশ করা যায় না, ঠিক তেমনিভাবে কালেমার অর্থ না বুঝলে খাঁটি মুসলমান হওয়া যায় না।
ইসলাম, ঈমান, তাওহীদ ও রিসালাতের কলেমা ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ অর্থ, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল। এই পবিত্র কলেমার দু’টো অংশ- ১• প্রথম অংশ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, যার অর্থ আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই তিনিই একমাত্র পালনকর্তা, মাবুদ, প্রভু, মালিক, তিনি সারে জাহানের সৃষ্টিকর্তা আমরা সবাই তাঁরই সৃষ্টি, তিনি সকলের প্রভু, আমরা সবাই তাঁর দাস/গোলাম। তিনিই আমাদের একমাত্র উপাস্য, আমরা তাঁরই দাসত্ব স্বীকার করে, কেবল তাঁরই আনুগত্য করি এবং তাঁরই আইন মেনে চলার চেষ্টা করি। কালামেপাকে বর্ণিত আছে যে, ”তিনিই আল্লাহ যিনি আকাশ জমিন ও পৃথিবী এবং এই দু’টোর মাঝে যা কিছু আছে, তাহা সবই ছয়দিনে সৃষ্টি করেছেন”। আল-কোরআন, সূরা সাজদাহ, আয়াত-৪
মহাগ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে, “এবং তোমাদের মা’বুদ তিনি, একমাত্র মা’বুদ; তিনি ছাড়া আর কেহ মা’বুদ নাই; তিনি বড়ই ক্ষমাশীল ও দয়ালু”, আল-কোরআন, সূরা বাকারা আয়াত-৩৬।
অপর এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, “তিনিই তোমাদের আল্লাহ্, তিনি ছাড়া আর কেহ মা’বুদ নাই। তিনি প্রত্যেকটি জিনিসের সৃষ্টিকর্তা, অতএব তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদত কর। তিনি প্রত্যেকটি জিনিসের দায়িত্বশীল।” আল কোরআন, সূরা আনআয, আয়াত-১০২, অপর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, “হে মানব সমাজ! তোমরা ভিন্ন ভিন্ন ও একাধিক উপাস্য স্বীকার করা ভাল না, একজন প্রকৃত শক্তিমান মা’বুদই ভাল জেনে রাখ, এক আল্লাহ ব্যতীত তোমরা অন্য যে মা’বুদের নামে ইবাদত কর তাহা সবই অর্থহীন, আর সেই নামগুলো তোমরা এবং তোমাদের বাপ-দাদারা মিলিয়ে রেখেছ। আল্লাহ সে সম্পর্কে কোন যুক্তি প্রমাণ নাজিল করেন না। অথচ হুকুম দেওয়া ও আইন রচনা করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত আর কাহারও নাই তিনি আদেশ করেছেন, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাহারো দাসত্ব করিও না। এটিই সত্য দ্বীন, কিন্তু অনেকেই তাহা জানে না”। আল কোরআন।
কালেমার দ্বিতীয় অংশঃ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ অর্থ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল। আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে তাঁর আদর্শ প্রচারের জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। এই কালেমা যেহেতু ইসলামের মূল ভিত্তি/বুনিয়াদ, এর উপর ইসলামের অন্যসব হুকুম-আহকাম ইমারত স্বরূপ দাঁড়ানো আছে। এই কালেমার মধ্যে মহান আল্লাহতায়ালার যে পরিচয় দেয়া হয়েছে তাই আল্লাহর সঠিক পরিচয়। আর হযরত মুহাম্মদ সাঃ কেবল মাত্র একজন মানুষই নয়, বরং তিনি আল্লাহর রাসূলও বটে, আর এটা তাঁর আসল পরিচয়। আর আল্লাহকে ভালবাসতে হলে প্রথমেই তাঁর বন্ধু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে ভালবাসতে হবে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসূল ! আপনি বলেদিন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসতে চাও তবে প্রথমেই রাসূলের অনুসরণ করো তবেই আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং আল্লাহ তোমাদের মাফ করে দিবেন এবং তোমাদের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল করুণাময়।” আল কোরআন, সূরা আল ইমরান।
আল্লাহর আইন অনুসরণ করার লক্ষ্যে তিনি মহানবী (সাঃ) কে রাসূল মনোনীত করে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন। তাঁর মাধ্যমে তিনি আমাদের প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন, কাজেই আমরা মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দেখানো পথে তাঁর সব আইন-কানুন, বিধি-বিধান মেনে, তাঁর অনুসরণে জীবন যাপন করলে এই কালেমার হক আদায় হবে, নচেৎ তার বিপরীত হলে তাকে অমান্য করারই নামান্তর
হে মুহাম্মাদ! আপনার পূর্বে আমি যত নবী পাঠায়েছি, তাঁদের সকরের প্রতি অহী যোগে এই আদেশ করেছি যে, আমি ব্যতীত আর কেহ ইলাহ নাই, অতএব তোমরা সকলে কেবলমাত্র দাসত্বকর, আল-কোরআন, সুরা আম্বিয়া-২৫
বিশ্ব ইতিহাসে যত নবী-রাসূল আগমন করেছেন, তারা সবাই নিজ নিজ উম্মত/ অনুসারীদের কাছে আল্লাহর একত্ববাদের কথাই বর্ণনা করেছেন এবং শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবী সাঃকে লক্ষ্য করে বলেন, হে বন্ধু! আপনার পূর্বে আমি যত নবী রাসূল পাঠিয়েছি, তাদের সকলের প্রতি অহী যোগে এই আদেশ করেছি যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ ব্যতীত আর অন্যকোন মাবুদ নাই। অতএব তোমরা কেবলমাত্র আমারই দাসত্ব কর, আলকোরআন, যেমন আল্লাহ বলেন, হযরত নূহ আঃ তাঁর জাতিকে লক্ষ্য করে বলেন, হে আমার জাতি! তোমরা এক আল্লাহর দাসত্ব কর; কারণ তিনি ব্যতীত তোমাদের আর অন্য কোন মাবুদ নেই, আল-কোরআন, সূরা আ’রাফ, তাওহীদের এই কালেমার দাওয়াত দিতে গিয়ে ইউনুছ (আঃ) নিরাশ হয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। যার ফলে তিনি পথিমধ্যে মাছের পেটে পতিত হয়ে এই দোয়া “লা ইলাহাইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনত ুমিনাজ জোয়ালেমীন” পড়ে মুক্তি লাভ করেন আল-কোরআন, সূরা আম্বিয়া, এ-ভাবে হযরত আদম আঃ থেকে শুরু করে হযরত মুহাম্মাদ সাঃ পর্যন্ত এক লক্ষ/দুই লক্ষ নবী রাসূল ঈমান তথা তাওহীদ ও রিসালাতের কালেমার দাওয়াত দিতে গিয়ে বহু দুঃখ-কষ্ট, নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। যারা ইমান ও ইসলামের প্রথম বাণী, তাওহীদ ও রিসালাতের কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)’ পাঠ করবে, তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সাক্ষাৎ লাভের উপায় হিসাবে দু’টো কাজ করতে হবে।
১• খাঁটিভাবে আল্লাহকে স্বীকার করে, তার হুকুম মত কাজ করা
২• আল্লাহর নির্দেশ মত সৎ/নেক কাজ করে তার নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকা।
যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ যখন এই কালেমার দাওয়াত মানব সমাজে পেশ করতেন, ঠিক তখনই সমাজের অধিকাংশ মানুষ তাদের শত্রম্ন হয়ে যেত। অথচ এই দাওয়াত পেশ করার পূর্বে প্রত্যেক নবী রাসূলগণ সে সমাজের শ্রদ্ধাভাজন ও অতিপ্রিয় পাত্র ছিলেন। যেমন- হযরত মুসা আঃ, হযরত ইব্রাহীম আঃ, হযরত ঈশা আঃ এবং হযরত মুহাম্মদ সাঃ। তারা নবুওয়াতের পূর্বে সমাজের সকলের কাছে বিশেষ সম্মানী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। কিন্তু যখন নবুওয়াতী লাভ করে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াত প্রচার কাজ শুরু করলেন, ঠিক তখনই সর্বপ্রথম তাদের নিকটতম ব্যক্তিরাই প্রথম শত্রম্নতা শুরু করতে থাকে। তাদের অত্যাচার, নির্যাতন আর জুলুমের কারণে নবী রাসূলগণ দেশ (জন্মভূমি/জন্মস্থান) ত্যাগ করতে বাধ্য হতে হতো।
মহান আল্লাহ তা’য়ালার প্রকৃত পরিচয় হলো তিনি এক-একক, অদ্বিতীয়, জীবন-মৃত্যুদাতা, লালন-পালনকারী, শ্রবণ-দর্শনকারী। তার আইন-হুকুম সর্বত্র বিরাজমান। তিনিই কুন-ফাইকুনের মালিক। তিনি সকল ব‘র পরে সর্ব শক্তিশালী। তিনিই সমগ্র বিশ্ব সৃষ্টির একচ্ছত্র অধিপতি। তিনি মানবজাতির জীবন পরিচালনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ বিধান দিয়েছেন।
কালেমা তাইয়্যেবার শিক্ষাঃ কালেমা তাইয়্যেবা একটি বিরাট বিপ্লবী ঘোষণা। যারা এই কালেমা গ্রহণ করে, তারা একমাত্র আল্লাহর উপাশন ও তারই দাসত্ব স্বীকার করে। যেমন- আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আর তার নৈকট্য লাভের উপায় তালাশ কর এবং আল্লাহর পথে জিহাদ কর, আশা করা যায় যে, তোমরা সফলকাম হবে।’ আল কোরআন, সূরা মায়িদাহ, আয়াত-৩৫।
বস্তুত এই কালেমা তাইয়্যেবার প্রতি যারা বিশ্বাস স্থাপন কর তারা ইসলামী বিধান ব্যতীত অন্য কোন ইজম স্বীকার করতে পারে না। আল্লাহ ভিন্ন অন্য কাহারো সার্বভৌমত্ব মানতে পারে না। ইসলামী রাষ্ট্রে ও মুসলিম দেশে মানব রচিত কোন আইন চলতে পারে না। তাই যে কোন ইসলামী রাষ্ট্রে ইসলাম ও কোরআন বিরোধী যে কোন নেতা/রাজশক্তির স্বরচিত আইন চলতে পারে না।
কালেমার পরিপূর্ণতাঃ হযরত আদম আঃ থেকে শুরু করে মুহাম্মদ সাঃ পর্যন্ত সকল নবী-রাসূলগণের পরে যে আসমানী কিতাব নাজিল হয়েছে, তা বিশ্বাস করা ফরজ। কালেমার প্রথম অংশ ‘লাইলা-হা ইল্লাল্লাহু’ মানা যেমন-ফরজ, কালেমার শেষ অংশ ‘মুহাম্মাদুর রাসূলল্লাহ মানাও তেমন ফরজ। বর্তমান বিশ্বে সুখ-শান্তির জন্য মহাগ্রন্থ আল কোরআনের আইন/বিধান এবং মুহাম্মাদ সাঃ আদর্শ জীবন বিধানকে মেনে নেয়া ছাড়া অন্যকোন উপায় নেই। আল্লাহর কোরআন যেমন অপরিবর্তীত, তেমন রাসূল সাঃ’র আদর্শ চরিত্র অলঙ্গনীয়। মুসলমানদের জন্য চিরন্তন আদর্শ নেতা হলেন মুহাম্মাদ সাঃ।
কালেমা তাইয়্যেবা পাঠের ফজিলতঃ কালেমা তাইয়্যেবা পাঠ করার ফলে পাঠকারীর জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়। যদি তার মাঝে গুনাহ না থাকে, তবে তার পরিবারবর্গের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। তাফসিরে রুহুল বয়ানে বর্ণিত আছে যে, রাসুল সাঃ’র যুগে দাহিয়া কালবী নামে এক ব্যক্তি ছিল। সে বিনা অপরাধে ৭০ জন মেয়ে সন্তানকে হত্যা করেছে। রাসূল সাঃ’র পরামর্শে কালেমা তাইয়্যেবা পাঠ করে মুসলমান হলে তার ৬০ বছর বয়সের সমস্ত গুনা মাফ করে দেয়া হয়। হযরত আনাছ রাঃ হতে বর্ণিত আছে যে, যে কোন ব্যক্তি দিনে/রাতে কালেমা তাইয়্যেবা পাঠ করবে সঙ্গে সঙ্গে তার আমল নামা থেকে সমস্ত গুনাহ মোচন করে দেয়া হবে। আর তার গুনাহ সমপরিমাণ নেক তার আমল নামায় লিপিবদ্ধ করে দেয়া হবে। হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেন, একবার হযরত মুসা আঃ আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করলেন যে, হে আল্লাহ! আমাকে এমন একটি কালেমা শিক্ষা দিন, যাহা দ্বারা আমি একান্তে আপনাকে স্মরণ করতে পারি। তখন আল্লাহ তা’য়ালা তাকে বললেন, হে মুসা! তুমি পড় ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহু’। তখন মুসা আঃ বললেন, হে আল্লাহ! এটি এমন একটি কালেমা যা সবাই জানে। তখন আল্লাহ বললেন, হে মুসা! এটি এমন একটি কালেমা যা সপ্ত আকাশ ও সপ্ত জমিনের চেয়ে অতি ভারী ও বিশেষ সম্মানিত।
২৩ আগস্ট,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর