বুধবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৭:৪৬:৪১

১২ বছরের সওয়াব অর্জনের নামাজ

১২ বছরের সওয়াব অর্জনের নামাজ

ইসলাম ডেস্ক: মহান আল্লাহ পাক বলেন, ‘আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামাজ কায়েম করুন। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সুরা আনকাবুত : আয়াত ৪৫)। যেহেতু ঈমানের পরে নামাজের স্থান তাই ফরজ ও সুন্নাত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অতিব জরুরি। মাগরিবের ফরয এবং সুন্নাত আদায়ের পর দুই রাকাআত করে ছয় থেকে বিশ রাকআত নফল নামাজকে আওয়াবিনের নামাজ বলা হয়। এ নামাজ আদায়ে বার বছরের সাওয়াব রয়েছে। হাদিসে এসেছে, কোনো ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাআত নামাজ আদায় করলে এবং ইশার নামাজের পূর্বে কোনোরূপ মন্দ কথা না বললে তাকে এর বিনিমেয়ে তাকে ১২ বছরের ইবাদাতের সাওয়াব দেয়া হবে। অপর বর্ণনায় এসেছে, পঞ্চাশ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (ইবনে মাজাহ, আত তারগীব) হযরত হুজাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে তার সঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম। তিনি মাগরিবের পরে ইশার সালাত পর্যন্ত নফল সালাতে রত থাকলেন।’ (ইবনু আবী শাইবা, মুসান্নাফ, নাসাঈ) হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সাহাবায়ে কেরাম মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ে সজাগ থেকে অপেক্ষা করতেন এবং নফল সালাত আদায় করতেন।’ হযরত হাসান বসরি বলতেন, ইশার মধ্যবর্তী সময়ের নামাযও রাতের নামায বা তাহাজ্জুদের নামায বলে গণ্য হবে। (বাইহাকী) ৯ই ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/জুবায়ের/রাসেল

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে