ইসলাম ডেস্ক: আল্লাহ তাআলার নিয়ামত হচ্ছে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। মানুষের উপর আল্লাহর এই নিয়ামত তখনই পরিপূর্ণতা লাভ করবে যখন মানুষ সঠিক পন্থায় আত্মা ও শরীর উভয়ের পাক-পবিত্রতা অর্জনের জন্য অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকবে। তাই মানুষের জানা উচিত কি কি কারণে পবিত্রতা নষ্ট হয়। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- “আততুহুরু শাতরুল ঈমান” । অর্থ : পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। (সহীহ মুসলিম) তাই পবিত্র থাকতে হলে অপবিত্রার বিষয়গুলো জানা অবশ্যই জরুরিঃ
মূলত ১০টি কারণে দেহের পবিত্রতা নষ্ট বা অযু ভেঙে যায়-
১. পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মা ইয়াখরুযু মিনাস সাবিলাইন অর্থাৎ দুই পথ দিয়ে যা বের হয়। সুতরাং প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক যাই বের হোক পবিত্রতা নষ্ট হবে। অযু ভেঙ্গে যাবে।
২. দেহের কোনো অংশ থেকে রক্ত, পুঁজ বের হয়ে যদি পবিত্র হওয়ার বিধান প্রযোজ্য হয়। অর্থাৎ গড়িয়ে পড়ে।
৩. মুখ ভর্তি বমি অর্থাৎ বেশি পরিমাণে বমি হলে।
৪. নাক দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হলে।
৫. ঘুমানো- চিৎ হয়ে; কাত হয়ে; হেলান দিয়ে কিংবা কোনো কিছুর সঙ্গে ঠেস দিয়ে ঘুমালে যা সরিয়ে ফেললে ঘুমন্ত ব্যক্তি পড়ে যাবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দাঁড়িয়ে, বসে, রুকুতে বা সিজদায় যে ঘুমায়, তার ওপর অযু আবশ্যক নয়। পবিত্রতা অর্জন আবশ্যক হল তার যে পার্শ্বে ভর দিয়ে ঘুমায়; কেনন পার্শ্বের ওপর ভর দিয়ে ঘুমালে তার গ্রন্থি শিথিল হয়ে পড়ে। (তিরমিজি, আবু দাউদ)
৬. অজ্ঞান হওয়ার পর; এমন অজ্ঞান যাতে বোধ শক্তি লোপ পায়।
৭. অপ্রকৃতিস্থতা। যা ঘুম বা নিদ্রার চেয়েও প্রবল।
৮. রুকু-সাজদা বিশিষ্ট নামাজে অট্ট হাসি; তবে জানাজা নামাজে, তিলাওয়াতে সিজদায় এবং নামাজের বাইরে হাসলে অযু নষ্ট হবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, শুনো তোমাদের কেউ অট্ট হাসি করিলে অযু ও নামাজ উভয়ই পুনরায় আদায় কর। (দারা কুতনি ও তাবরানি)
৯. পিছনের রাস্তা দিয়ে অর্থাৎ পায়খানার রাস্তা দিয়ে কীট বের হলে পবিত্রতা অর্জন তথা অযু করতে হবে। তবে ক্ষতস্থান থেকে কীট বের হলে বা মাংসখণ্ড খসে পড়লে পবিত্রতা নষ্ট হবে না।
১০. ফোঁড়া বা ফোস্কার চামড়া তুলে ফেলার কারণে যদি পানি বা পুঁজ বের হয়ে ফোঁড়া বা ফোস্কার মুখ অতিক্রম করে তাহলে পবিত্র নষ্ট হবে।
৩০ জুলাই,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর