আল-আমিন : বিশ্ব মানবের জন্য এক জীবন্ত ‘মুজিজা’ হচ্ছে আল-কুরআন। এ কিতাবের অনুরূপ কিতাব রচনা করা পৃথিবীর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। আল-কুরআনের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা পৃথিবীর কোনো মানব রচিত গ্রন্থের মধ্যে বিন্দুমাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। কুরআন এমন একটি কিতাব যার ভাষা খুবই সাবলীল।
এ কিতাবের রচনাশৈলী দারুণ গাম্ভীর্যপুর্ণ এবং ভাষাশৈলী অত্যন্ত চমৎকার। প্রতিটি আয়াত ছন্দ ও অলংকারে পরিপূর্ণ। এই গ্রন্থের অলৌকিকত্বের বাস্তব রূপ হলো, বিস্ময়কর রচনারীতি ও অনুপম বাচনভঙ্গি। পৃথিবীর কোন পন্ডিত এরূপ অনুপম হৃদয়গ্রাহী কিতাব রচনা করতে সক্ষম হয়নি। আর কখনো হবেও না। এই কুরআনের ভাব খুবই মর্মস্পর্শী ও অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী। ভাষার প্রাঞ্জলতা ও মাধুর্যের কারণে বারবার এই কুরআন পড়তে মন চায়।
কুরআনের শব্দের বাহ্যিকরূপ এতোই স্বচ্ছ যে, কচি শিশুরা পর্যন্ত মুখস্থ করতে পারে। কিন্তু এর মর্মার্থ এতোই গভীর যে, যুগ যুগ ধরে সাধনা চালিয়েও তার তলদেশে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এটাই হল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব আল কুরআন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এই কুরআন মুত্তাকিদের জন্য হিদায়েত।’ (সূরা বাকারা : ২)
এই বিস্ময়কর কুরআনের এক বিস্ময়কর মর্যাদা হচ্ছে, যা পড়লেও সাওয়াব হয়, শুনলেও সাওয়াব হয়, মহব্বতের সাথে দেখলেও সাওয়াব হয়। পৃথিবীর এমন কোন গ্রন্থ এমন নেই যা পড়লে বা শুনলে কিংবা দেখলে নেকি পাওয়া যায়। শুধু এতোটুকুই নয়, মহানবী সা. বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ঐ ব্যাক্তি, যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।’ (মিশকাত শরীফ : ৮৩) পৃথিবীতে এমন কোন গ্রন্থ নাই যা স্পর্শ করতে হলে পাক-পবিত্রতার প্রয়োজন হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই কুরআন সম্মানিত কিতাব, পবিত্র ব্যক্তি ব্যতিত কেউ ইহা স্পর্শ করবে না।’ (সূরা ওয়াকিয়া : ৭৭-৭৯)
পৃথিবীতে এমন কোন গ্রন্থ নাই, যার বাক্য পড়ে ফুঁ দিলে রোগ ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এই পৃথিবীতে এমন একটি বিস্ময়কর কিতাব আজো পৃথিবীতে আছে, যার আয়াত পড়ে ফুঁ দিলে অনেক রোগ আল্লাহর রহমতে ভালো হয়ে যায়। সেই মহাগ্রন্থটি হলো- আল কুরআন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি কুরআনে এমন কিছু নাজিল করেছি যা রোগের জন্য সুচিকিৎসা এবং মুমিনদের জন্য রহমত।’ (সূরা বনী ইসরাইল : ৮২)
সূত্র: আমাদেরসময়.কম