বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:০৭:০৯

পতাকার বিষয়ে ইসলাম কী বলছে?

পতাকার বিষয়ে ইসলাম কী বলছে?

ইসলাম ডেস্ক : ইসলামে পতাকার সম্মান অসীম। রাসুল (সা.) পতাকা ভালোবাসতেন। সাহাবাগণ পতাকার প্রতি সম্মান দেখাতেন। সাহাবায়ে কেরাম ইসলামের পতাকার জন্য যুদ্ধ করেছেন। মুক্তির সংগ্রাম করেছে। মুতার যুদ্ধের স্মরণীয় ঘটনা শত্রু সৈন্যের তোপের মুখে সাহাবায়ে কেরাম। আঘাতে আঘাতে খান খান হয়ে যাচ্ছেন অনেক সাহাবি (রা.)। কিন্তু পতাকা হাতে অনড় সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রা.)। এক সময় প্রতিপক্ষের তলোয়ারের আঘাত লাগে তার ডান হতে। ভারী আঘাতে কেটে পড়ে পতাকাবাহী হাত। কিন্তু সাহাবি পতাকা ছাড়েননি। হাত বদল করে বাম হাতে পতাকা ওড়ান। আঘাত আসে বাম হাতেও। সত্যের বিজয়ী পতাকা তখনও উড়ছে। এবার পতাকা উড়ছে আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহার কনুই-পেটে। ক্রমেই বাড়ছে যুদ্ধের ভয়াবহতা। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। আক্রমণ উল্টো আক্রমণ। এক সময় পুরো হাতই শেষ। এবার সাহাবি পতাকা মুখে নিলেন। পতাকা উড়ছে সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহার মুখে। তবু পতাকা ছাড়েননি তিনি। পতাকার প্রতি সাহাবির ভালোবাসা আমাদের প্রেরণার সোপান। আমরা আমাদের জাতীয় পতাকাকে ভালোবাসি। ভালোবাসি দেশের মাটি ও মানুষকে। লাল সবুজের পতাকা আমাদের অহংকার। আমাদের গর্ব। পতাকার গাঢ় সবুজ রঙ বাংলার সবুজ-শ্যামল প্রকৃতির রূপকে প্রকাশ করে। রক্তের মতো লাল রঙ লাখো মানুষের শহিদ হওয়ার সাক্ষ্য বহন করে। পতাকা স্বাধীন জাতিসত্ত্বা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। স্বাধীনভাবে উড়ে লাল সবুজের পতপতে পতাকা। আমার দেশের পতাকা যেন সবুজ নীলিমায় শহিদি খুনের শৈল্পিক আঁচড়। আমাদের পতাকার সম্মান আমরাই ধরে রাখবো। পতাকার গায়ে কোনো আঁচড় পড়তে দিবো না। একাত্তরে যে পতাকার জন্য বাংলামায়ের সন্তানেরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে শহিদ হয়েছেন, সে পতাকা ধরে রাখতে প্রয়োজনে আমরা আবার যুদ্ধ করবো। তবু, বাংলার আকাশে অনন্তকাল উড়াবো লাল সবুজের পতপতে পতাকা। আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় আমাদের বাংলাদেশ। ত্রিশ লাখ শহিদের তাজা রক্তের বিনিময়ে মুক্ত হয় এদেশের মাটি ও মানুষ। একাত্তরে একটি দেশের জন্ম। জন্ম একটি পতাকা ও স্বতন্ত্র মানচিত্রের। বাংলার আকাশজুড়ে আজ লাল-সবুজের পতাকা। গাড়ি-বাড়ি, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র উড়ছে জাতীয় পতাকার বিজয় নিশান। ১৬ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে