আমিন মুনশি : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘শপথ সেই মহান সত্তার! যার হাতে আমার প্রাণ। দুনিয়া ততোক্ষণ পর্যন্ত ধ্বং'স হবে না (তার পূর্বে) মানুষের প্রতি এমন একসময় আসবে; হ'ত্যাকারী জানবে না সে কেন হ'ত্যা করছে আর নি'হত ব্যক্তি জানবে না তাকে কেন হ'ত্যা করা হয়েছে। বলা হলো: সেটা কীভাবে হবে? তিনি বললেন: হারাজ (গুজব, হুজুগ, অলীকতা, বিবেকহীনতা, মূর্খতা, নির্বুদ্ধিতা, অন্যায় হ'ত্যা, বিচারহীনতা ও সত্য মিথ্যার মিশ্রণ ইত্যাদি) এর কারণে’ (মুসলিম: ৩৯০৮)।
তিনি আরও বলেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের আগে ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, ভূমিকম্প বেশি হবে, সময় সংকীর্ণ হয়ে যাবে, ফিতনা প্রকাশ হবে, হ'ত্যাকা'ণ্ড-খু'নখারাবি বেড়ে যাবে, সম্পদের আধিক্য হবে’ (বুখারি: ১০৩৬)। সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ‘সুবহানাল্লাহ! তখন কি মানুষের বুদ্ধি–বিবেক থাকবে না?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘না। সে সময় মানুষ বিবেকশূন্য হয়ে যাবে এবং মনে করবে সে-ই সঠিক, আসলে তা নয়’ (মুসনাদে আহমাদ: ৩২: ৪০৯)।
অন্যত্র রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কিয়ামতের আলামত হলো ‘হারাজ’! বলা হলো ‘হারাজ’ কী? তিনি বললেন, ‘মিথ্যা ও হ'ত্যা। এই হ'ত্যা হবে অজ্ঞতাপ্রসূত, স্বার্থপরতায় এবং খামখেয়ালিপনায়’ (ফাতহুলবারি-১৩: ৩৪)। অথচ আল্লাহ তাআলা কোরআনে ঘোষণা করেন, ‘তোমরা ন্যায়বিচার ব্যতীত কোনো মানুষ হ'ত্যা করবে না, যা আল্লাহ হারাম করে দিয়েছেন’ (৬: ১৫১)। তিনি আরও বলেন, ‘কোনো মুমিন কোনো মুমিনকে খু'ন করতে পারে না’ (৪: ৯২)।-আমাদেরসময়.কম