ইসলাম ডেস্ক: মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের উপর নামাজ ফরয করেছেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা তাই নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকেন। কিন্তু অনেক মানুষ নিজেকে মুসলমান দাবী করলেও নিয়মিত নামাজ আদায় করেন না। তবে তারা যদি নিচে উল্লেখিত কোরআন হাদিসের বর্ণনাগুলো একটু মন দিয়ে পড়েন তাহলে নিশ্চত ভাবে বলা যাবে- যে কোন নামাজহীন ব্যক্তির মনেও নামাজ কেন এতো দিন পড়েনে সেই প্রশ্নটি জাগবে
জাহান্নামের আগুনের প্রখরতা এবং ধোঁয়ার আধিক্যঃ
❑ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর বাম দিকের দল, কত হতভাগ্য বাম দিকের দল! তারা থাকবে তীব্র গরম হাওয়া এবং প্রচন্ড উত্তপ্ত পানিতে, আর প্রচন্ড কালো ধোঁয়ার ছাঁয়ায়, যা শীতলও নয়, সুখকরও নয়’ [সূরা ওয়াকি‘আহ: ৪১-৪৪]
অত্র আয়াত সমূহ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিনের প্রচন্ড তাপ থেকে মানুষকে ঠান্ডা করবেন তিনটি বস্তু দ্বারা, তাহলো:-
(১) পানি (২) বাতাস এবং (৩) ছাঁয়া, যার সামান্যটুকুও জাহান্নামীদেরকে দেয়া হবে না।
❑ অতএব, জাহান্নামের বাতাস যা তার অধিবাসীদেরকে দেয়া হবে, তা প্রচন্ড গরম বাতাস। আর পানি যা পান করতে দেয়া হবে, তা প্রচন্ড গরম পানি। আর ছাঁয়া যা তাদেরকে আচ্ছাদন করে রাখবে, তা জাহান্নামের আগুন নিসৃত ধোঁয়ার ছাঁয়া। এগুলো জাহান্নামীদের কোন উপকারে আসবে না, বরং এগুলো তাদের অধিক শাস্তির কারণ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘চল তিন শাখাবিশিষ্ট ছাঁয়ার দিকে, যে ছাঁয়া শীতল নহে এবং যা রক্ষা করে না অগ্নিশিখা হতে, উহা উৎক্ষেপ করবে বৃহৎ স্ফুলিংগ অট্টালিকাতুল্য, উহা পীতবর্ণ উষ্ট্রশ্রেণী সদৃশ’ [সূরা মুরসালাত: ৩০-৩৩]