ইসলাম ডেস্ক: দিনাজপুরের হিলি-ঘোড়াঘাটের মধ্যবর্তী চোরাগাছা গ্রামে অবস্থিত সুলতানি আমলের নির্মিত সুজা মসজিদ। জনশ্রুতি আছে এই মসজিদ এক রাতে তৈরি করা হয়েছে। সুলতানি আমলের বিরল স্থাপত্য ধারায় নির্মিত সুজা মসজিদটি নামাজ কক্ষ ও বারান্দা দিয়ে দুই অংশে বিভক্ত।
নামাজ কক্ষে জায়গার পরিমাণ সাত দশমিক ৮৪ মিটার আর বারান্দা লম্বায় চার দশমিক ৮৪ মিটার ও চওড়া দুই দশমিক ১২ মিটার। চুন সুরকির সাহায্যে ছোট আকৃতির ইট দ্বারা নির্মিত মসজিদের দেওয়াল এক দশমিক ৮০ মিটার প্রশস্ত।
নামাজ কক্ষের ছাদ বাঁকা আকৃতির গম্বুজ দ্বারা আবৃত। বারান্দায় রয়েছে এক সারিতে অনুরুপ তিনটি গম্বুজ। তাছাড়া নামাজ কক্ষের চারকোণে চারটি ও বারান্দায় দুইটি পাথরের রুরুজ আছে।
মসজিদে প্রবেশের জন্য পূর্বদিকে তিনটি ও উত্তর-দক্ষিণে একটি খিলানকৃত প্রবেশপথ রয়েছে। বারান্দার উত্তর পাশে একটি প্রবেশপথ রয়েছে। এই মসজিদের স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে হোসেন শাহী (১৬’শ খ্রি.) আমলের বেশ মিল পাওয়া যায়।
চোরাগাছা গ্রামের ৯৪ বছর বয়সী সমসের আলী বলেন, ‘আমি আমার বাপ-দাদাদের নিকট এই মসজিদের ইতিহাস শুনে আসছি। সুজা মসজিদের বয়স প্রায় ৪০০ বছরেরও বেশী হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটি সুলতানি আমলের মসজিদ। দাদাদের মুখ থেকে শুনছি মসজিদটি আল্লাহর তরফ হতে রাতারাতি নির্মাণ হযেছে।’
সুজা মসজিদের ইমাম মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই মসজিদে আমি দীর্ঘদিন যাবত ইমামতি করছি। দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসে নামাজ পড়তে ও মসজিদটি দেখতে।’ মসজিদ দেখতে আসা জামাত আলী বলেন, ‘আমার বাড়ী অনেক দূরে। আমার ছেলে অসুস্থ। তার জন্য মান্নত করছি এই মসজিদে।’
জামাত আলীর মতো অনেকের বিশ্বাস এই মসজিদে নামাজ পড়ে আল্লাহর নিকট কিছু চাইলে আল্লাহ তা পূরণ করেন।