ইসলাম ডেস্ক: বন্ধুরা বলেছিল রোজা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান উপহার। এ কথা শুনে জার্মানির এক খ্রিস্টান নাগরিক স্টেফান হাট সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে রোজা রেখে নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। এই খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ব্রিটেনের কার্ডিফের সেলটিক ইংলিশ একাডেমির তিন খ্রিস্টান শিক্ষক এ্যান্ড্রু বডগিন, জন লেসটন ও জেনিফার জন তাদের মুসলমান ছাত্রদের সাথে কষ্ট করে রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামি ৩রা জুলাই তারা রোজা পালন করবে। খবর হাফিংটন পোস্ট।
খবরে বলা হয়, তারা শুধু রোজাই রাখবে না, পাশাপাশি অন্তত ৫’শ পাউন্ড সংগ্রহ করে তারা তা ক্ষুধার্ত মানুষের হাতে তুলে দেবেন। তাদের এধরনের অভিনব উদ্যোগে অনেকে সাড়া দিয়ে ১০, ২০ এমনকি ১০০ পাউন্ড পর্যন্ত সাহায্য দিয়েছেন। এধরনের সাহায্য যারা দিয়েছেন তারাও বলছেন রোজায় এধরনের উদ্যোগ আরো বৃহৎ পরিসরে করা গেলে সমাজে ক্ষুধার্ত ও নিরাশ্রয়ী মানুষগুলোর জন্যে আরো সাহায্য করা সম্ভব হবে। ওই তিন শিক্ষক কার্ডিফ ফুড ব্যাংকে তাদের সংগ্রহের অর্থ দান করবেন।
মূলত তারা ইসলামকে এগিয়ে নিতে ও ক্ষুধার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্যে তারা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। দার উল-ইসরা নামে মুসলমানদের একটি সংগঠন প্রতিদিন কিভাবে ৪’শ ক্ষুধার্ত মানুষকে খাবার সরবরাহ করছে তা জানতে পেরে এই তিন খ্রিস্টান শিক্ষক তাদের মুসলমান ছাত্রদের সঙ্গে রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেন। নিরাশ্রয়ী মানুষকে রমজান মাসের তিরিশ দিন এধরনের খাদ্য দিয়ে সাহায্য করার বিষয়টি তাদের কাছে অভিনব মনে হয়েছে।
শিক্ষকরা বলছেন, আমরা রোজা রাখার মাধ্যমে আমাদের অগণিত মুসলমান ছাত্রদের পাশাপাশি দাঁড়াচ্ছি। মুসলমান ছাত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর করার জন্যে তাদের সঙ্গে রোজা রাখা একটি চমৎকার উপায়। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসলিম ছাত্রদের সঙ্গে রোজা রেখে তাদের প্রতি আরো দৃঢ় সংহতি জানাতে পারি।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/