মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে অনেকে বলে থাকনে এটি তার পাপের ফল। নিশ্চই আগে সে পাপ করেছে এখন সে পাপের ফল ভোগ করছে। এমন মন্তব্য সমাজে অহরহ শোনা যায়। অনেকে আবার নিজের জীবনের সমস্যা, ব্যথা-বেদনা, দুঃখ-দুর্দশার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলে থাকেন, আল্লাহ হয়তো আমাকে অপছন্দ করেন, তারই ফল ভোগ করতে হচ্ছে।
কুরআন-সুন্নাহর শিক্ষা আর নবী-রাসূলদের জীবনাদর্শের আলোকে এমন চিন্তা-ভাবনা ও কথাবার্তাকে অমূলক এবং ভ্রান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। নবী কারিম (সা.) বিপদ আপদ মুমিন জীবনের নিত্যসঙ্গী।
অনুরূপভাবে মুমিন জীবনের কষ্টগুলো তাকে যখন ব্যথিত করে, তখন আল্লাহর সান্নিধ্যে গিয়ে আত্মাকে প্রশান্ত করার অনুপম একটা সুযোগ সে লাভ করে। এটা মুমিন জীবনের পরম পাওনা।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহতায়ালা যে ব্যক্তির কল্যাণ কামনা করেন তাকে তিনি দুঃখ-কষ্টে পতিত করেন। -সহিহ বোখারি: ৫৬৪৫
আরেকটি হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুমিনের দৃষ্টান্ত শস্যক্ষেতের মতো। বাতাস সবসময় তাকে আন্দোলিত করে। অনুরূপভাবে মুমিনের ওপরও সবসময় বিপদাপদ আসতে থাকে। আর মুনাফিকের দৃষ্টান্ত দেবদারু গাছের মতো। মূল উৎপাটন হয়ে যায়; কিন্তু সেটা আন্দোলিত হয় না। -সহিহ মুসলিম: ৬৯৮৫।