বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী শীর্ষ দেশগুলোর একটি দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবসা করা তুলণামূলক সহজ। তাই প্রতিবছর সে দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। মুনাফা ভালো হওয়ায় ২০১৭ সালে ৮.৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। পুরনোদের পাশাপাশি নতুন প্রবাসীরা খুলছে নতুন নতুন দোকানপাট।
লালিত স্বপ্নকে হাতের মুঠোয় পেতে প্রতিনিয়তই সে দেশে পাড়ি জমাচ্ছে হাজারো বাংলাদেশি তরুণ, যাদের মধ্যে মুসলিম প্রবাসীর সংখ্যাই বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার সব অঞ্চল মুসলিমপ্রধান না হওয়ায় সেখানে নিজেদের ধর্ম পালন করার সুব্যবস্থা নেই বললেই চলে। কোনো কোনো এলাকা এমনও আছে, যেখানে স্থানীয় মুসলিম নাগরিক মোটেই নেই। ফলে সেখানে মসজিদের সংখ্যাও কম।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তৃপ্তিসহকারে আদায় করার জন্য নেই কোনো মসজিদ। পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করার জন্য যেতে হয় অনেক দূরে। তাই বিভিন্ন বাসা বা গ্যারাজ ভাড়া করে সেখানে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করে প্রবাসীরা। এভাবেই চলে আসছিল বাঙালি প্রবাসীদের মসজিদ ‘মসজিদে আকসা’র কার্যক্রম। এবার এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য বাঙালিদের উদ্যোগে সেখানে জমি কিনে তৈরি করা হচ্ছে নতুন মসজিদ, যার নাম থাকবে ‘আল আকসা’ মসজিদ।
এরই মধ্যে মসজিদটি নির্মাণের জন্য একজন প্রবাসী বাঙালির অর্থায়নে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের রাজধানী শহর মাফেকিংয়ের ইটসোসেং টাউনে জমি কেনা হয়েছে। শুরু করা হয়েছে ৮৫০ বর্গফুটের একটি মসজিদের নির্মাণকাজ, যা শেষ করতে খরচ হবে আনুমানিক ১.৫ মিলিয়ন আফ্রিকান র্যান্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯০ লাখ টাকা।
মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাঙালিদের এই উদ্যোগে এখানকার সব প্রবাসী মুসলিম বেশ খুশি। এখানে বাঙালিদের পাশাপাশি অনেক ভারতীয় ও পাকিস্তানি মুসল্লিও আছে। আমরা আশা করছি, বাঙালিদের এই মসজিদটি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদর্শ মসজিদ। এখানে চালু করা হবে দাওয়াতে তাবলিগের কাজ।
থাকবে মুসলিম ছেলে-মেয়েদের বিনা মূল্যে ইসলামী শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা। এ ছাড়া বিনা মূল্যে চিকিৎসা, ত্রাণ বিতরণসহ জনসেবামূলক কাজ তো থাকছেই।’