বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ১১:২৭:০৬

আল্লাহ যাকে হেফাজত করেন, তাঁর ক্ষতি কেউ করতে পারেনা

আল্লাহ যাকে হেফাজত করেন, তাঁর ক্ষতি কেউ করতে পারেনা

ইসলাম ডেস্ক: আল্লাহ মহান। তাঁর দয়ার কারনেই এই সুন্দর পৃথিবীতে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর আবির্ভাব ঘটেছিল। মুহাম্মাদ (সা) ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন আরাম ও সুখের জীবন। তিনি যেমন সাহসী ও অকুতোভয় ছিলেন, তেমনি ছিলেন কোমল মনের মানুষ। তাঁর ব্যাক্তিত্বের প্রভাবে ইসলামের বিস্তার হয়েছে।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহর বিধানগুলো যথাযথভাবে মেনে চলবে, আল্লাহ তোমাকে হেফা’জত করবেন।

আর তোমার কারো কাছে কিছু চাইতে হলে আল্লাহর কাছেই চাইবে। সাহায্য চাইতে হলে আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইবে। জেনে রেখো! যদি সব সৃষ্টি একত্র হয়ে তোমার কোনো উপকার করতে চায়, তবে তারা আল্লাহর নির্ধারিত পরিমাণ ছাড়া কখনোই তোমার উপকার করতে পারবে না। আর যদি সব সৃষ্টি একত্র হয়ে তোমার কোনো ক্ষ’তি করতে চায়, তবে তারা আল্লাহর নির্ধারিত পরিমাণ ছাড়া কখনোই তোমার ক্ষ’তি করতে পারবে না।(সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২৫১৬)

রাসুলুল্লাহ (সা.) জীবনের অন্তি’ম মুহূ’র্তে নামাজ সংরক্ষণের অসিয়ত করেন। নামাজ সংরক্ষণের অর্থ হলো, যথাসময়ে যথানিয়মে একা’গ্র চিত্তে নামাজ আদায় করা। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নামাজের প্রতি যত্নবান হও এবং বিশেষত মধ্যবর্তী নামাজের।’ (সুরা: বাকারা, আয়াত: ২৩৮)

কোরআনে কারিমে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা নবী করিম (সা.)-এর জন্য দরূদ পাঠের তথা আল্লাহর দরবারে তার জন্য দোয়া করার আদেশ দিয়েছেন। এটা একদিকে যেমন আল্লাহর কাছে তার রাসূলের মর্যাদার প্রমাণ, অন্যদিকে মুমিন বান্দার রহমত ও বরকত লাভের অন্যতম উপায়। আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক মুসলমানকে দরুদের মতো সহজ ও মূল্যবান আমলটি বেশি বেশি করার তওফিক দান করুন। আমিন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে