রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৩:৪৭:২৬

আমাদের দীনের নবী রাসূল (সা.) এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য

আমাদের দীনের নবী রাসূল (সা.) এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য

ইসলাম ডেস্ক: আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কোটি কোটি গুণে গুণান্বিত একজন মহামানব ছিলেন। যার গুণবলি এবং বৈশিষ্ট্যের কথা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না। তবুও নবী কারিম (সা.) এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলো। ♦ ইয়াওমে মিছাক, অর্থাত্ সৃষ্টির শুরুতে গোটা মানবজাতি থেকে আল্লাহ পাক তাঁর প্রভুত্বের অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ মানবজাতিকে সেদিন এই প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আমি কি তোমাদের প্রভু নই?’ এই প্রশ্নের জবাবে সর্বপ্রথম রাসুল (সা.) গোটা মানবজাতির প্রতিনিধিরূপে জবাব দিয়েছিলেন : ‘কেন নয়! আপনিই আমাদের একমাত্র প্রভু।’ ♦ হুজুর (সা.)-এর নাম আরশে লিপিবদ্ধ রয়েছে। ♦ নিখিল বিশ্ব সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হলো রাসুল (সা.)। ♦ আগের সব আসমানি কিতাবে রাসুল (সা.)-এর বৈশিষ্ট্য ও শুভাগমনের সুসংবাদ উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রকার বৈশিষ্ট্য এমন, যা রাসুল (সা.)-এর দুনিয়াতে আগমনের পর অথচ নবুয়তপ্রাপ্তির আগে প্রকাশ হয়েছে। যেমন—তাঁর কাঁধে মহরে নবুয়ত ছিল। তৃতীয় প্রকার বৈশিষ্ট্য এমন, যা নবুয়তপ্রাপ্তির পর প্রকাশিত হয়েছে, আর তা একমাত্র রাসুল (সা.)-এর জন্যই নির্দিষ্ট। যেমন— ♦ মিরাজে যাওয়া এবং ফেরেশতাদের সঙ্গে সাক্ষাত্, বেহেশত ও দোজখের আশ্চর্যজনক ঘটনাবলি সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং আল্লাহ পাকের দিদার ও সাক্ষাত্ লাভ করা তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ♦ নামাজের আজান ও ইকামতে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ♦ তাঁর আগমনে গণকদের ভবিষ্যদ্বাণীর পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ♦ মহানবী (সা.)-এর ওপর এমন গ্রন্থ অবতীর্ণ হয়েছে, যা ভাবে, ভাষায়, হেফাজতে ও কণ্ঠস্থ করাসহ সব বিষয়ে অলৌকিক। ♦ নিদ্রা গেলে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অজু ভেঙে যেত না। ♦ রাসুল (সা.)-এর ইন্তিকালের পর উম্মতের জন্য তাঁর স্ত্রীদের বিবাহ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ♦ তাঁর জন্য জাকাত গ্রহণ করা হারাম করা হয়েছে। ♦ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কন্যাদের থেকেও বংশীয় সূত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ♦ মহানবী (সা.) সম্মুখে এবং পশ্চাতে সমানভাবে দেখতেন। ♦ দূর-দূরান্ত পর্যন্ত তাঁর প্রভাব ছিল। ♦ রাসুল (সা.)-কে পরিপূর্ণ জ্ঞান দান করা হয়েছে। তিনি ছিলেন মহাজ্ঞানী, সর্ববিষয়ে বিজ্ঞ ও সর্বগুণে গুণান্বিত। ♦ তিনি সর্বকালের সব মানুষের জন্য রাসুল হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। ♦ তাঁর মাধ্যমেই নবুয়তের পরিসমাপ্তি ঘটে। ♦ রাসুল (সা.)-এর অনুসারীদের সংখ্যা সব নবীর অনুসারীদের সংখ্যার চেয়ে বেশি। ♦ পুরো সৃষ্টিজগতের মধ্যে তিনি সর্বোত্তম ব্যক্তি। চতুর্থ প্রকার বৈশিষ্ট্যগুলো সব উম্মতের মধ্যে একমাত্র রাসুল (সা.)-এর উম্মতকে দান করা হয়েছে। ♦ এই উম্মতের জন্য গনিমতের সম্পদ বৈধ করা হয়েছে। ♦ এই উম্মতের জন্য দুনিয়ার সব স্থানে নামাজ পড়া বৈধ। ♦ আজান ও ইকামত এই উম্মতের বৈশিষ্ট্য। ♦ মুসলমানদের নামাজের কাতার ফেরেশতাদের কাতারের ন্যায়। ♦ বিশেষ ইবাদত হিসেবে জুমার নামাজের বিধান । ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪ডটকম/জুবায়ের রাসেল

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে