ইসমাঈল আযহার: হিজরি নবম বর্ষে মুসলমানদের ওপর পবিত্র হজ ফরজ হওয়ার পরে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে। ইসলামধর্মের এই পঞ্চম স্তম্ভ আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মুসলমান পবিত্র মক্কা শরীফে সমবেত হন। কিন্তু বিগত চৌদ্দশো বছরে একাধিকবার কিছু কঠিন পরিস্থিতি কারণে ইসলামের এই ফরজ বিধান হজপালন বাধার মুখে পড়েছে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের করণে ওমরাহ পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। ওমরাহ পালন বন্ধ ও কাবা শরীফে নামাজ আদায় স্থগিতের পর আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি খুব শীঘ্রই করোনার উদ্ভুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে চলতি বছরের মূল হজের কার্যক্রমেও বিধিনিষেধ আসতে পারে- যা আগের সমস্যাগুলোর চেয়ে আরও ভ'য়ঙ্কর রূপ নিতে পারে।
১৮১৪ সালে হেজাজ ভূমিতে প্রাণঘা'তী প্লেগ দেখা দেয়। এতে আ'ক্রান্ত হয়ে মা'রা যান অন্তত ৮ হাজার মানুষ।তখন হজপালনে বাধার সম্মুখীন হয়েছিল বিশ্ববাসী। ১৮৩৭ সালেও একটি মহামা'রি হা'না দেয় আরব অঞ্চলে । যেটি ১৮৯২ সাল নাগাদ স্থায়ী হয়েছিল। এসময় এক দিনেই ১ হাজার হজযাত্রীর মৃ'ত্যু ঘটে।
১৮১৭-১৮২৪ সালে এশিয়াতে কলেরা মহামা'রির রূপ ধারণ করে। ভারতের কলকাতা শহর থেকে যেটি ছড়িয়ে পড়েছিল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব আফ্রিকা ও ভূমধ্যসাগর উপকূলে। এর আগেও ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে কলেরা আ'ক্রমণ করে- যা ইংরেজ সেনাবাহিনিসহ হাজার হাজার ভারতীয়র মৃ'ত্যুর কারণ হয়। এসময় হজ পালন করতে আসা কয়েক হাজার ভারতীয় মুসল্লি মক্কায় সফররত অবস্থায়ই ই'ন্তেকাল করেন।
১৮৩১ সালেও ভারতে কলেরা হা'না দেয়। এতেও বহুসংখ্যক হাজির মৃ'ত্যু হয়। ১৯৬৩ সালে আরেকবার ভারত থেকে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘটে। যার প্রভাব ইউরোপ ও আফ্রিকা পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
১৮৫৮-১৮৬৪ সালে মিসরে এক মহামা'রিতে শতশত হজযাত্রীর মৃ'ত্যু হয়। উল্লিখিত এসব সময়ে হজপালন বাধার মুখে পড়ে এবং স্বল্প পরিসরে মুসল্লিদের উপস্থিতিতে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সূত্র: আল জাজিরা, টিভি ইজিপ্ট, আখবারুল খালিজ/আমাদেরসময়