শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০২০, ০৮:০৬:২৫

মহামা'রি নিয়ে পবিত্র কোরআনের যত আয়াত

মহামা'রি নিয়ে পবিত্র কোরআনের যত আয়াত

ইসলাম ডেস্ক : করোনায় বিপ'র্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্ব। প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে নতুন রোগীর সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামা'রি ঘোষণা করেছে। রো'গের মহামা'রি নিয়ে মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে বেশ কিছু আয়াত আছে। আসুন জেনে নেয়া যাক কী বলা হচ্ছে সেসব আয়াতে...

সুরা আহযাব: আয়াত-৯ : ''আর তারপর আমি তোমাদের শ'ত্রুদের বিরু'দ্ধে পাঠিয়েছিলাম এক ঝ'ঞ্ঝা বায়ু এবং এক বাহিনী। এমন এক বাহিনী যা তোমরা চোখে দেখতে পাওনি।'' সুরা আন‌আম: আয়াত-৪২ : ''তারপর আমি তাদের ওপর রো'গব্যা'ধি, অভাব, দারিদ্র্য, ক্ষু'ধা চা'পিয়ে দিয়েছিলাম, যেন তারা আমার কাছে নম্রতাসহ নতি স্বী'কার করে।''

সুরা ইয়াসিন: আয়াত-২৮-২৯ : ''তারপর (তাদের এই অবিচারমূলক জুলুম কার্য করার পর) তাদের বি'রু'দ্ধে আমি আকাশ থেকে কোনো সেনাদল পাঠাইনি। পাঠানোর কোনো প্রয়োজন‌ও আমার ছিল না। শুধু একটা বিস্ফো'রণের শব্দ হলো, আর সহসা তারা সব নি'স্ত'ব্ধ হয়ে গেল (মৃ'ত লাশ হয়ে গেল)।'' সুরা আ'রাফ: আয়াত-১৩৩ : ''শেষ পর্যন্ত আমি এই জাতিকে পোকামাকড় বা প'ঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, র'ক্ত, প্লাবন ইত্যাদি দ্বারা শা'স্তি দিয়ে ক্লি'ষ্ট করি।''

সুরা বাকারা: আয়াত-২৬ : ''নিশ্চয়ই আল্লাহ মশা কিংবা এর চাইতেও তুচ্ছ বিষয় (ভাইরাস বা জীবা'ণু) দিয়ে উদাহরণ বা তার নিদ'র্শন প্রকাশ করতে লজ্জা বোধ করেন না।'' সুরা আ'রাফ: আয়াত-৯৪ : ''ওর অধিবাসীদের আমি দুঃখ, দারিদ্র্য, রো'গব্যা'ধি এবং অ'ভাব-অন'টন দ্বারা আ'ক্রা'ন্ত করে থাকি। উদ্দেশ্য হলো তারা যেন, নম্র এবং বিনয়ী হয়।''

সুরা মুদ্দাসসির: আয়াত-৩১ : ''তোমার রবের সেনাদল বা সেনাবাহিনী (কত প্রকৃতির বা কত রূপের কিংবা কত ধরনের) তা শুধু তিনিই জানেন।'' সুরা আল-আনআম: আয়াত-৬৫ : ''তুমি তাদের বলো যে, আল্লাহ তোমাদের ঊর্ধ্বলোক হতে বা ওপর থেকে এবং তোমাদের পায়ের নিচ হতে শা'স্তি বা বি'পদ পাঠাতে পূর্ণ সক্ষম।''

সুরা আল আ'রাফ: আয়াত-৯১ : ''তারপর আমার ভূমিকম্প তাদের গ্রা'স করে ফেলল। ফলে তারা তাদের নিজেদের গৃহেই মৃ'ত অবস্থায় উ'ল্টো হয়ে পড়ে রইল।'' সুরা আল কামার: আয়াত-৩৪ : ''তারপর আমি এই লূত সম্প্রদায়ের ওপর প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর ব'র্ষ'ণকারী এক প্রচণ্ড ঘূ'র্ণিবায়ু।''

সুরা ইউনুস: আয়াত-১৩ : ''অবশ্যই আমি তোমাদের পূর্বে বহু জাতিকে ধ্বং'স করে দিয়েছি, যখন তারা সীমা অতি'ক্রম করেছিল।'' সুরা সাবা: আয়াত-১৬ : ''তারপর প্রবল বন্যার পানি তৈরি করলাম এবং ফসলি জমিগুলো পরিবর্তন করে দিলাম। অকৃ'ত'জ্ঞ ও অহং'কারী ছাড়া এমন শা'স্তি আমি কাউকে দিই না।''

সুরা বাকারা: আয়াত-১৪৮ : ''নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর ওপর (অর্থাৎ আরশ, পঙ্গপাল কিংবা ভাইরাস) সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান, সব‌ই তার নিয়ন্ত্রণাধীন।'' সুরা বাকারা: আয়াত-১৫৫ : ''আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু ভ'য়, ক্ষু'ধা, জান-মালের ক্ষ'তি এবং ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে পরীক্ষা করব। তবে তুমি ধৈ'র্যশীলদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।''

সুরা সাফফাত: আয়াত-১৭৩ : ''আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী (আমার পরিকল্পনা পূর্ণ করে)।'' সুরা আল আন'আম: আয়াত- ৪৪-৪৫ : ''অতঃপর যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের উপদেশ এবং দিক-নির্দে'শনা দেওয়া হলো, তারা তা ভুলে গেল (আল্লাহর কথাকে তুচ্ছ ভেবে প্র'ত্যা'খ্যান করল) তাদের এই সী'মাল'ঙ্ঘনের পর আমি তাদের জন্যে প্রতিটি কল্যাণকর বস্তুর দরজা খুলে দিলাম অর্থাৎ তাদের জন্যে ভোগ বিলা'সিতা, খাদ্য সরঞ্জাম, প্রত্যেক সেক্টরে সফলতা, উন্নতি এবং উন্নয়ন বৃদ্ধির দরজাসমূহ খুলে দিলাম। 

শেষ পর্যন্ত যখন তারা আমার দানকৃত কল্যাণকর বস্তুসমূহ পাওয়ার পর আনন্দিত, উল্লসিত এবং গর্বিত হয়ে উঠল, তারপর হঠাৎ একদিন আমি সমস্ত কল্যাণকর বস্তুর দরজাসমূহ বা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দরজাসমূহ বন্ধ করে দিলাম । আর তারা সেই অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়ল। তারপর এই অত্যাচারী সম্প্রদায়ের মূল শি'কড় কর্তিত হয়ে গেল এবং সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্যেই র‌ইল, যিনি বিশ্বজগতের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী বা সবকিছুর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকারী 'রব'।''

সুরা ত্বাহা: আয়াত-১৪ : ''নিশ্চয়ই আমিই হলাম 'আল্লাহ'। অতএব আমার আইনের অধীনে থাকো।'' সুরা মুলক: আয়াত- ১৬-১৭ : ''তোমরা কী ভাবনা মুক্ত হয়ে গিয়েছে যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদেরসহ ভূমিকে ধ'সিয়ে দেবেন না? অথবা তোমাদের ভূগর্ভের বি'লী'ন করে দেবেন না? এমন অবস্থায় যে ভূভাগ তথা জমিন (আল্লাহর নির্দেশে) আক'স্মিকভাবে থ'রথ'র করে কাঁ'পতে থাকবে বা ভূমিকম্পকে চলমান করে দেয়া হবে।

নাকি তোমরা ভাবনামুক্ত হয়ে গিয়েছ যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের ওপর কং'করবর্ষী ঝ'ঞ্ঝা-বৃষ্টি কিংবা প্রস্তর-বৃষ্টি ব'র্ষণ করার হুকুম দেবেন না? (যদি আমি এমন করার হুকুম করি) তখন তোমরা জানতে পারবে বা উপলব্ধি করবে, কেমন ছিল আমার সত'র্কবাণীর পথ-নির্দেশ।''

সুরা আল আ'রাফ: আয়াত-১৩০ : তারপর আমি ফে'রাউনের অনুসারীদেরকে কয়েক বছর পর্যন্ত দুর্ভি'ক্ষে রেখেছিলাম এবং অজন্ম ও ফসলহানি দ্বারা বিপ'ন্ন করেছিলাম। (স'ঙ্ক'টাপন্ন এবং বি'প'দগ্রস্ত অবস্থায় রেখেছিলাম) উদ্দেশ্য ছিল, তারা হয়তো আমার পথ-নির্দে'শ গ্রহণ করবে এবং আমার প্রতি বিশ্বাস আনয়ন করবে আনবে। (আমার আধিপত্য স্বীকার করে নেবে)

সুরা আল আ'রাফ: আয়াত- ৯৭-৯৮ : জনপদের অধিবাসীরা কী ভাব'নামুক্ত হয়ে গিয়েছে সেই আল্লাহর বিষয়ে যে, তিনি তাদের ওপর ঘু'মন্ত অবস্থায় শা'স্তি পাঠাবেন না? যে শাস্তি তাদের গ্রা'স করে ফেলবে! নাকি জনপদের অধিবাসীরা চিন্তামুক্ত হয়ে গিয়েছে এই বিষয়ে যে, আমি তাদের ওপর শা'স্তি পাঠাব না, এমন অবস্থায় যে যখন তারা আমোদ-প্রমোদে লি'প্ত ছিল?

সুরা ফাজর: আয়াত- ৬-১৪ : ''আপনি কী দেখেননি, আপনার 'রব' আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিল? যাদের দৈহিক গঠন ছিল, স্তম্ভ এবং খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ এবং তাদের এত শ'ক্তি ও ব'লবীর দেয়া হয়েছিল যে, সারা বিশ্বের শহরসমূহে অন্য কোনো মানবগোষ্ঠীকে দেয়া হয়নি। এবং সামুদ গোত্রকে যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করত এবং বহু সৈন্যবাহিনীর অধিপতি ফেরাউনের সাথে, যারা দেশের সীমাসমূহ ল'ঙ্গন করেছিল। 

অতঃপর সেখানে বি'স্তর অশা'ন্তি সৃষ্টি করেছিল। তারপর আপনার 'রব' তাদের ওপর শা'স্তির কশাঘা'ত করলেন। নিশ্চয়ই আপনার 'রব' প্রতিটি বিষয়ের ওপর সত'র্ক দৃষ্টি রাখেন।'' সুরা আল ইমরান: আয়াত- ১৭৮ : ''আমি জালিমদের সুযোগ দেই বা বেঁচে থাকার সময় দে‌ই, তাদের পা'পকে পা'কাপো'ক্ত করার জন্য।''

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে