সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:৪৫:৫০

যেভাবে নামাজ পড়তে গেলে মহানবী (সা.) অখুশি হতেন

যেভাবে নামাজ পড়তে গেলে মহানবী (সা.) অখুশি হতেন

ইসলাম ডেস্ক: নামাজ মুসলমানদের জন্য সর্বত্তম ইবাদত। তাইতো ধর্মপ্রান মুসলমানেরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকেন। তবে কেউ কেউ নিয়মিত জামায়াতের সহিত মসজিদে গিয়ে সঠিক সময়ে হাজির হতে ব্যর্থ হন। ফলে তারা মসজিদে নামাজের ইকামত শুরু হলে জামায়াত ধরার জন্য দৌড় শুরু করেন। মহানবী (সা.) নামাজের জন্য দৌড়ে আসাকে অপছন্দ করতেন। কারণ কোন ব্যক্তি দৌড় দিয়ে আসলে নিশ্চিত ভাবেই সে হাঁপিয়ে উঠবে। আর ক্লান্ত শরীর নিয়ে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মনোনিবেশ করা সত্যিই কঠিন।

আরবি হাদিস

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ، يَقُولُ: « إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ، فَلاَ تَأتُوهَا وَأنْتُمْ تَسْعَونَ، وَأتُوهَا وَأنْتُمْ تَمْشُونَ، وَعَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ، فَمَا أدْرَكْتُم فَصَلُّوا، وَمَا فَاتكُمْ فَأَتِمُّوا». متفقٌ عَلَيْهِ
زَادَ مُسلِمٌ في رِوَايةٍ لَهُ: « فَإنَّ أحَدَكُمْ إِذَا كَانَ يَعْمِدُ إِلَى الصَّلاَةِ فَهُوَ في صَلاَةٍ »

বাংলা হাদিস

আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যখন নামাযের জন্য ইক্বামত (তাকবীর) দেওয়া হয় তখন তোমরা তাতে দৌড়ে আসবে না, বরং তোমরা গাম্ভীর্য-সহকারে স্বাভাবিকরূপে হেঁটে আসবে। তারপর যতটা নামায (ইমামের সাথে) পাবে, পড়ে নেবে। আর যতটা ছুটে যাবে, ততটা (নিজে) পূরণ করে নেবে।

মুসলিমের এক বর্ণনায় এ কথা বেশি আছে, কারণ তোমাদের কেউ যখন নামাযের উদ্দেশ্যে যায়, সে আসলে নামাযেই থাকে। (বুখারি ৬৩৬, ৯০৮, মুসলিম ৬০২, তিরমিযি ৩২৭, নাসায়ি ৮৬১, আবু দাউদ ৫৭২, ৫৭৩,)

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে