বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১০:৫০:৪৯

যে আমলে সারা শরীর পবিত্র হয়ে যায়

যে আমলে সারা শরীর পবিত্র হয়ে যায়

ইসলাম ডেস্ক: ওজু নামাজের চাবি এবং নামাজ বেহেশতের চাবি। তাই আমাদের সকলকেই সঠিক নিয়মে ও সঠিক দোয়া পড়ে ওজু করা খুবই দরকার। এ প্রসঙ্গে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘ বিসমিল্লাহ পড়ে যদি কেউ অজু করে, তাহলে আমলনামা লেখার কাজে নিয়োজিত ফেরেশতা তার আমলনামায় সওয়াব লিখতেই থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত এই অজুু নষ্ট না হবে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে ডেকে বললেন, “হে আবু হুরায়রা! তুমি যখন অজু করবে, তখন বলো, ‘বিসমিল্লাহি ওয়াল-হামদুলিল্লাহ’। তাহলে তোমার অজু নষ্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত ফেরেশতারা তোমার জন্য সওয়াব লিখতেই থাকবে।’ (তাবরানি : ১২২)। আরেক হাদিসে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহ না বলে, তার অজুই হয় না।’ (তিরমিজি : ২৫)। অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ বরকত ও ফজিলত অর্জন করার মতো অজু হয়নি। সুন্নত অনুযায়ী অজু করলে যেসব বরকত ও ফজিলত পাওয়া যায়, সে তা পাবে না। যদিও এই অজুর দ্বারা তার পবিত্রতা অর্জন হয়েছে; কিন্তু অজুর দ্বারা যতটুকু সওয়াব হওয়ার কথা, তা হবে না। কারণ, সে অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়েনি। অন্যত্র বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি বিসমিল্লাহ পড়ে অজু করে, তাহলে তার গোটা শরীর পবিত্র হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ ছাড়া অজু করল, সে গোটা শরীরকে পবিত্র করতে পারল না। শুধু অজুর জায়গাগুলো পবিত্র করল।’ (দারা কুতনি : ২৩৯)। চেহারা ধুয়েছে, চেহারা পবিত্র হয়েছে। হাত ধুয়েছে, হাত পবিত্র হয়েছে। পা ধুয়েছে, পা পবিত্র হয়েছে। মাথা মাসেহ করেছে, মাথা পবিত্র হয়েছে। অজুর অঙ্গগুলো পবিত্র হয়েছে ঠিকই; কিন্তু গোটা শরীর তার পবিত্র হয়নি। এজন্য বিসমিল্লাহ পড়ে অজু করা উচিত। তাহলে আল্লাহ তায়ালা পুরো শরীর পবিত্র করে দেবেন। অজু করে নামাজ পড়লে যতক্ষণ অজু থাকবে, ততক্ষণ সওয়াব লেখা হয়। অজুতে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত। সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। বিসমিল্লাহ দুইভাবে পড়া যায় : ১. বিসমিল্লাহির রহমানি রাহিম, যেটা আমরা পড়ি। ২. ‘বিসমিল্লাহিল আজিম, ওয়াল-হামদুলিল্লাহি আলা-দ্বীনিল ইসলাম’- এভাবেও পড়া যায়। ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪ ডটকম/জুবায়ের রাসেল

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে