জুবায়ের আল মাহমুদ রাসেল: আমরা যতই ইবাদত কিংবা আমল করি না কেন মহান আল্লাহ তায়ালা যদি অসন্তুষ্ঠু থাকেন তাহলে পরকালে কামিয়াবি হওয়া যাবে না। তাই মহান আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করতে হলে আমাদের আমলগুলো সঠিক হওয়া বাঞ্চনীয়। তাই আমাদের সকলকে আল্লাহর কাছে নিজেকে আত্মসমর্পন করে ক্ষমা চাওয়াতে মনোযোগী হওয়া খুব বেশি জরুরী।
আর এ কারণেই আল্লাহকে খুশি করতে নিজেকে আত্মসর্মপন করে সৃষ্টিকর্তার দরবারে ক্ষমা চাইতে হবে। আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দোয়া আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (সা) আমাদের বলে দিয়েছেন।
রাসূল (সা) বলেছেন, আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে কেউ যদি প্রতিদিন সকাল (ফযরের পরে) ও সন্ধ্যায় (আসর বা মাগরিবের পরে) পড়ে – আর সে ঐদিন মারা যায় – ইনশা’আল্লাহ সে জান্নাতে যাবে। (বুখারী, তিরমিযী ৫/৪৬৬) হিসনুল মুসলিম পৃষ্ঠা – ১২৭।
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲ ﻟَّﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ، ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻲ
ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ، ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ
ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ، ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ،
ﺃَﺑُﻮﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻲَّ، ﻭَﺃَﺑُﻮﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ
ﻓَﺎﻏْﻔِﺮ ﻟِﻲ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা-
ইলাহা ইল্লা আনতা, খালাক্বতানি ওয়া আনা আ’বদুক,
ওয়া আনা-আ’লা আহ’দিকা ওয়া-
ওয়াদিকা মাস্তা-তোয়া’ত, আ’উযুবিকা মিন
শাররি মা-ছানাআ’ত আবু-উ-
লাকা বিনি’মাতিকা আলায়্যা ওয়া-আবু-উ-বি-যামবি, ফাগফিরলী, ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুযযুনুবা ইল্লা-আনতা। (বুখারী)
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো আর আমি তোমার বান্দা। আমি আমার সাধ্যানুযায়ী তোমার সাথে যে ওয়াদা করেছি তা পূরণ করার চেষ্টায় রত আছি, আমি আমার কর্মের অনিষ্ট থেকে পানাহ্ চাই, আমি স্বীকার করছি আমার প্রতি তোমার প্রদত্ত নিয়ামতের কথা এবং আমি আরো স্বীকার
করছি আমার পাপে আমি অপরাধী, অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করো, তুমি ছাড়া ক্ষমা করার আর কেউ নাই।