ইসলাম ডেস্ক: পবিত্র কোরআনের প্রথম সূরা আল-বাকারা শুরুই হয়েছে ‘আলিফ লাম মিম’ এই তিনটি অক্ষর দিয়ে। আসলে এই তিনটি কি শুধু অক্ষর নাকি শব্দ? এ বিষয়ে পিসটিভি বাংলায় ডা. জাকির নায়েক বিস্তারীত আলোচনা করেছেন। চলুন সেই আলোচনাটি জেনে নিই।
ড. জাকির নায়েক বলেন, পবিত্র কোরআনের ২৯ টি সূরার শুরুতে এ ধরণের অক্ষর রয়েছে। কখনো দেখবেন ‘সদ’ কখনো ‘হা মীম’। কখনো চারটা কখনো পাঁচটা অক্ষর রয়েছে। আর এ অক্ষরগুলোর ব্যাখ্যা নিয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে। কেউ বলেন, এ অক্ষরগুলো আল্লাহ তায়ালার সংক্ষিপ্ত রূপ। কেউ বলেন, এটা আল্লাহ তায়ালার স্বাক্ষর। কেউ বলেন, এটা আল্লাহর নাম। কেউ বলেন, জীবরাঈল (আ) এ কথা বলে নবীজী (সা)’র মনযোগ আকর্ষণ করেছিলেন। আর নবীজী এটা বলে অন্যান্য মানুষের মনযোগ আকর্ষণ করেছেন। তবে সবচেয়ে খাঁটি ও বিশুদ্ধ ব্যাখা হচ্ছেন আপনারা দেখবেন, এ অক্ষরগুলো অনেক সূরার শুরুতে রয়েছে। এগুলো দ্বারা মানুষকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, এ অক্ষরগুলো দ্বারা হুবহু আরেকটি বই বানিয়ে দেখাও। পবিত্র কোরআনের অনেক জায়গায় আল্লাহ তায়ালা মানুষকে এ চ্যালেঞ্জ করেছেন। কোরআনে উল্লেখ রয়েছে, মানুষ ও জ্বীন একত্রে সমবেত হয়েও তারা কোরআনের মত আরেকটি বই রচনা করতে পারবে না। যেমন সূরা তুরের ৩৪ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ আছে যে, ‘তোমরা কোরআনের মতো আরেকটি বই রচনা করতে পারবে না’।
যেহেতু কোরআন নাযিল হয়েছে আরবি ভাষায় ও স্থানীয়দের ভাষাও ছিল আরবি; তাই সে অক্ষরগুলোও আরবি ভাষায় বলা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা পরোক্ষভাবে এ শব্দগুলো দ্বারা বলছেন, আরবি তো তোমাদেরই ভাষা। তোমরা তো আরবি অক্ষরগুলো নিয়ে খুবই গর্ব করো। এ অক্ষরগুলো দিয়ে কোরআনের মতো একটি সূরা বানিয়ে দেখাও।
আপনারা এও লক্ষ করবেন, এ অক্ষরগুলোর পরই কোরআনের প্রশংসা করা হয়েছে। এ অক্ষরগুলো ও কোরআনের প্রশংসা করে আল্লাহ বান্দাকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন তোমাদের চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। তোমরা এটা করতে পারবে না। এ পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি। অনেক অমুসলিমই চেষ্টা করেছে। কেউ পারেনি, ভবিষ্যতেও কেউ পারবে না।
সূত্র : পিসটিভি বাংলা