ইসলাম ডেস্ক: আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে পৃথিবীতে প্রেরণের শত বছর আগে তাদের রিজিক নির্ধারণ করে রাখলেও প্রতি বছর প্রতিটি মানুষের জীবনে যা’ ঘটবে, তা’ নির্ধারণ করা হয় পবিত্র শবে বরাতে। এ রাতে বান্দাহর জন্য আল্লাহর রহমতের ফল্গুধারা উন্মুক্ত থাকে।
এ রাতকে হাদিস শরিফে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বা ‘মধ্য শাবানের রজনী’ বলা হয়েছে। সাহাবি-তাবিয়ীগণের যুগের অনেক পরে এ রাতকে ‘লাইলাতুল বারাআত’ বা ‘বিমুক্তির রজনী’ বলে আখ্যায়িত করার প্রচলন শুরু হয়। মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে, ৪৪৮ হি. সনে বাইতুল মুকাদ্দাসে প্রথম এ রাতে প্রচলিত পদ্ধতিতে সালাত আদায়ের প্রচলন শুরু হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ ৩/৩৮৮)
তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এই রাতে নামাজ, জিকির আযগারম কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বিভিন্ন আমল করে থাকে। তাই এই রাতে যে কাজ গুলো একদমই করা যাবে না, তা হলো-
১। কারো ইবাদতে বাধা দেয়া যাবে না।
২। পটকা, আতশ বাজি ফোটানো যাবে না।
৩। সারারাত এমন আমল করা যাবে, যাতে পরে ঘুমিয়ে গেলে ফযরের নামাজ কাযা হয়ে যায়। সুতরাং মনে রাখতে হবে আজকের রাতের ইবাদত হলো নফল আর ফযরের নামাজ হলো ফরয।
৪। অনেক যুবক বন্ধু আমল বাদ দিয়ে মসজিদে এই রাতে সবাই মিলে পিকনিক করে থাকে। এটা না করাটাই ঠিক।
৫। এই রাতে স্বামী-স্ত্রীকেও সংযত হয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ইসলাম বিরোধী সকল কাজ বন্ধ করতে হবে।