কুরআনের পাখি খ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের কুরআনের শিক্ষিকা তানাজার আল নুজৌলি (৯৭) ৯ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বিশ্বব্যাপী অসংখ্য শিক্ষার্থী তার কাছে কুরআনের দারস ও পঠনরীতির সবক নেন। তিনি ছিলেন কুরআনের পঠনরীতির একজন আদর্শ শিক্ষিকা। তার দেয়া কুরআনের দারস ও পঠনরীতি ছিল গোছালো ও উপভোগ্য। দুনিয়াজুড়ে ছিল তার খ্যাতি ও সুনাম। কুরআনের প্রেমে ও দারসের টানে তার থেকে সনদ পাওয়ার আশায় বিশ্ব থেকে তার কাছে ছুটে আসতো শিক্ষার্থীরা।
আল-জাজিরা আরবির তথ্য মতে, ‘তানাজার নুজৌলি’ দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে আল-আজহারে কুরআনের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। প্রবীণ এ নারী কুরআনের শিক্ষিকা ১৯২৪ সালে মিসরের ডেল্টা জেলঅর সামানউদ কেন্দ্রের এক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। জীবনের শুরুতেই তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন।
দৃষ্টিহীনতা তাকে কুরআন শেখা, মুখস্ত করণ ও উচ্চ শিক্ষা থেকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। কুরআনের প্রচলিত বিভিন্ন পঠন পদ্ধতি তিনি অতি দক্ষভাবে আয়ত্ত ও রপ্ত করেন।
তিনি জামেয়া আল-আজহারেই শিক্ষা লাভ করেন। বিশেষ করে তিনি ‘আল-শাতিবিয়া ও আল-দুরার’র কিরাত শয়ইখ ইব্রাহিম আল-সামানুদির বিখ্যাত দুই শায়খের কাছে কুরআনের পঠন পদ্ধতি শিক্ষার লাভ করেন। তারা হলেন- শায়খ মুহাম্মাদ আবু হালওয়া এবং শায়খ আল-সাইয়্যিদ আবদ-জাওয়াদ। ফলে ইলমে কিরাতে তার সনদ ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ের।
তানাজার নুজৌলির মৃত্যুতে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়েল শায়খ ড. আহমদ আল-তায়েব গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা তার শিক্ষার্থীরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার রূহের মাগফেরাত কামনা করেন। তার পরিবারের প্রতি জানান সমেবেদনা।
আল্লাহ তাআলা আল-আজহারের কুরআনের পাখি তানাজার নুজৌলিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।