সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:০০:৩৩

পুরুষদের পর্দা করার বিষয়ে আল-কোরআন ও হাদিস যা বলেছে

পুরুষদের পর্দা করার বিষয়ে আল-কোরআন ও হাদিস যা বলেছে

ইসলাম ডেস্ক: অন্য ধর্মের তুলনায় ইসলামে নারীদের পর্দার ব্যাপারে কড়া হুঁসিয়ারি দেয়া আছে। তবে অনেকেই জানে না ইসলাম শুধু নারীদেরকেই পর্দা করতে বলেনি ইসলামে বরং নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা কিছু নিয়ম দেয়া আছে।

কুরআন মাজিদ ও হাদিসে পর্দাকে অলঙ্ঘনীয় বিধান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিধান অস্বীকারকারী নিশ্চিত কাফির বলে স্বীকৃত। এতে কোনো ওলামায়ে কিরামের দ্বিমত নেই। আজ পদে পদে যেভাবে পর্দা লঙ্ঘিত হচ্ছে তার পরিণতি খুবই ভয়াবহ।
পুরুষদের পর্দার বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে নবী! মুমিন পুরুষদের বলে দিন তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং যৌন পবিত্রতা রক্ষা করে চলে। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতম পন্থা। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে আল্লাহ তা অবহিত। (সূরা আননূর : ৩০)।
জারির ইবনে আবদিল্লাহ বাজালি (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে কোনো নারীর প্রতি হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সাথে সাথেই দৃষ্টি সরিয়ে নেবে (সহিহ মুসলিম)।
বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আলী (রা.)-কে বললেন, হে আলী! দৃষ্টির ওপর দৃষ্টি ফেলো না। হঠাৎ যে দৃষ্টি পড়ে ওটা তোমার ক্ষমার্হ; কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি তোমার জন্য ক্ষমাহীন পাপ (হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আবু দাউদ (রহ.)।
বিশ্বনবী রাসূলে আকরাম (সা.) বলেন- তোমরা (মুমিনরা) নবীপত্নীদের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা পর্দার (পর্দার বিধান) তোমাদের এবং তাদের অন্তরসমূহের জন্য পবিত্র থাকার উত্তম পন্থা (সূরা আহজাব: ৫৩)।
রাসূল (সা.) আরো বলেন, সাবধান! কোনো (পর) পুরুষ যেন কোনো (পর) নারীর সাথে নির্জনে অবস্থান না করে। কেননা যখনই তারা (নিরিবিলিতে) মিলিত হয়, শয়তান তাদের তৃতীয়জন হয় এবং (উভয়কে) কুকর্মে লিপ্ত করানোর প্রচেষ্টায় সে তাদের পিছু লেগে যায় ( তিরমিজি শরিফ)।
কোনো (পর) পুরুষ যেন কোনো মহিলার সাথে নির্জনে মিলিত না হয়। তবে মাহরাম ব্যক্তির (ব্যাপারটি) স্বতন্ত্র। আর কোনো মহিলা যেন মাহরাম ছাড়া একাকী তিন দিনের পথ (৪৮ মাইল) পথ ভ্রমণ না করে (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে